
স্টাফ রিপোর্টার: পূর্বাভাস আগেই ছিল। এবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসে যাবতীয় পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে গরম। দেশের বেশিরভাগ অংশে তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। গত কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহ, সেইসঙ্গে তাপপ্রবাহ সেকথাই প্রমাণ করেছে। প্রকৃতির সেই রুদ্র রূপেই বিশ্বরেকর্ড করে ফেলল বাংলা।বিশ্বের সর্বাধিক উষ্ণ শহরের তালিকায় স্থান পেল বাঁকুড়া।
বৃহস্পতিবার এলডোরাডো ওয়েবসাইট প্রকাশিত সমীক্ষায় বিশ্বের উষ্ণতম শহরগুলির মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া। বাঁকুড়া শহরে গত দুদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ওই তালিকায় বাঁকুড়ার উপরে রয়েছে মায়ানমারের দুটি শহর চাউক ও নিয়াউং, নাইজিরিয়ার মাইনে সোরাও ও তারপর প্রয়াগরাজ (৪৪.৫) ও খাজুরাহো শহরের (৪৪.৫) নাম।
ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গত ১৯ তারিখের সমীক্ষায় পৃথিবীর উষ্ণতম শহর মায়ানমারের চৌক শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেখানে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৪৪.১ ডিগ্রি।এদিকে বৃহস্পতিবারই ভারতের জন্য আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
তাঁদের বক্তব্য, এদেশের ৯০ শতাংশ অঞ্চল চরম উষ্ণাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। ক্রমশ প্রকৃতি ভয়ংকর হয়ে ওঠার কারণ উষ্ণায়ণ। বৃক্ষরোপণ-সহ দ্রুত একাধিক উদ্যোগ না নিলে আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।