
স্টাফ রিপোর্টার: সিঙুরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিল্পতাড়ুয়া’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মঙ্গলবার শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙুরের সব থেকে বড় সর্বনাশ করে দিয়ে গিয়েছেন। সিঙুরে টাটা গোষ্ঠীর তৈরি কারখানা ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করেছেন। সঙ্গে হাজার হাজার বেকার যুবক যুবতীর সোনালি স্বপ্ন ধ্বংস করেছেন।এই শিল্পতাড়ুয়া ১২ বছর একটা কারখানা করেনি।
উলটে ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে একের পর এক কারখানা বন্ধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যে কৃষকদের অবস্থা, শ্রমিকদের অবস্থা ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘রাজ্যের সাধারণ মানুষকে অন্ধকারের পথে ঠেলে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একদিকে ডিয়ার ও মার্টিন লটারি, অন্যদিকে ২৮ টাকার দেশি মদের পাউচ দিয়ে সর্বনাশ করছে তৃণমূল।’
পাশাপাশি তাঁর দাবি, তৃণমূলের জাতীয় তকমা চলে যেতেই অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুণ্ডা বলেছেন। আর তাঁকেই চারবার ফোন করে পা ধরেছেন বলে দাবি বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, সভামঞ্চ থেকেই তাঁর দাবি, ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২০২৪ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখার কথা বলেন।
তাতে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাখা যাবে না, আপনি তো ভোট পাননি। এমনকি নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনে চলে। আর তাই আপনি আর সর্বভারতীয় নন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়াকে অমিত শাহ জানান বলে দাবি। আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
একেবারে কড়া ভাষায় পালটা বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ওনাকে ফোন করবেন। বরং শুভেন্দুই মমতাদির পা ধরেছিলেন। বাবাকে নয়, তাঁকে মন্ত্রী করার জন্যে নাকি সেই সময় আবেদন জানিয়েছিলেন বলে দাবি কুণাল ঘোষের।