খেলা

শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা, গুজরাতের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য জয় নাইটদের

রিঙ্কু সিং! দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ মেলেনি এখনও, কিন্তু আইপিএলের সৌজন্যে এই নামটা বোধহয় ভুললে চলবে না। শেষ ওভারে প্রয়োজন ২৯ রান। হাতে মাত্র ৩ উইকেট। কেকেআরের ডাগআউট হাল ছেড়ে দিয়েছে। নিয়মরক্ষার ওভার, শেষপর্যন্ত কত রানে নাইটরা হারে তারই অপেক্ষা। সেই হারা ম্যাচকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন রিঙ্কু সিং। যশ দয়ালের শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা। রোমহর্ষক ম্যাচ। অবিশ্বাস্য জয়। আইপিএলের অন্যতম সেরা বললে ভুল হবে না। অবশেষে রিঙ্কু সিংয়ের দাক্ষিণ্যে অসম্ভবকে সম্ভব করল নাইটরা।

শেষ বলে ছয় মেরে কেকেআরকে ৩ উইকেটে জেতালেন বাঁ হাতি।‌টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত।শুরুটা ভাল করেন গুজরাতের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করেন তাঁরা। ফলে বরুণকে ৪ ওভার বলই করাতে পারলেন না নীতীশ।গুজরাতকে প্রথম ধাক্কা দেন সুনীল নারাইন। ১৭ রানের মাথায় ঋদ্ধিকে আউট করেন তিনি। ভাল খেলছিলেন শুভমন। তাঁকেও ফেরান নারাইন। ৩৯ রান করেন শুভমন।

এই ম্যাচেও গুজরাতের ইনিংসকে টানলেন সাই সুদর্শন। আবার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে নিজের কাজ করলেন তিনি। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। এই ম্যাচেও অর্ধশতরান করলেন তিনি। তাঁকেও আউট করেন নারাইন। কিন্তু শেষ দু’ওভারে হাত খুললেন বিজয় শঙ্কর। লকি ফার্গুসনের ১৯তম ওভারে ২৪ রান করলেন তিনি। ফলে এক ধাক্কায় ২০০ পেরিয়ে গেল গুজরাতের রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করল গুজরাত। ২৪ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শঙ্কর।

২০৪ রান তাড়া করতে নেমে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের‌ দুরন্ত ইনিংসে ভর করে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল নাইটরা। শেষ বল পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছিল। জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ৫১ রান, হাতে ২৪ বল। টি-২০ ক্রিকেটে এই অঙ্ক আয়ত্তের মধ্যে। তখনও আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, শার্দূল ঠাকুরের উইকেট হাতে রয়েছে। আগের ম্যাচে শেষের দু’জনের দাপটেই জিতেছিল কেকেআর। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম তিন বলেই হ্যাটট্রিক রশিদের। পরপর ফেরান রাসেল, নারিন এবং শার্দূলকে।

এরপরও যে রিঙ্কু ম্যাজিক বাকি ছিল সেটা বোধহয় ক্রিকেট পণ্ডিতরাও ভাবেননি। এই জায়গা থেকেও হারা সম্ভব ভাবতেই পারেননি রশিদ। নয়তো শেষ ওভারের জন্য কেন রেখে দিলেন যশ দয়ালের মতো একজন আনকোড়া, অনভিজ্ঞ বোলারকে! যে কিনা নিজের প্রথম ওভার থেকেই অতিরিক্ত রান দিচ্ছেন। শেষপর্যন্ত ৪ ওভার বল করে ৬৯ রান দেন যশ। এখানেই গুজরাটের জেতা ম্যাচ ফসকে যায়।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!