
বান্টি মুখার্জি, ক্যানিং: এক মুমূর্ষু প্রসূতি মাকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে।জানা গিয়েছে, প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিপ্রদাসপুর পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের সন্দীপ মণ্ডল প্রায় সাত বছর আগে গোসাবার শম্ভুনগর এলাকার শম্পা হালদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দম্পতির এক শিশুকন্যা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই বধূ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমাতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।এরপরই ঘটে বিপত্তি।
মা ও সদ্যোজাত সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা সদ্যোজাতকে সিসিইউতে ভর্তি করেন। অন্যদিকে, প্রসূতি মায়ের জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয়। সেকথা ওই প্রসূতির পরিবারকে জানিয়ে দেন মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। প্রসূতির পরিবারের লোকজন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের জন্য দরবার করলেও রক্ত মজুত না থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় ওই প্রসূতির স্বামী সন্দীপ মণ্ডল সহ তাঁর পরিবারের লোকজন বিমর্ষিত হয়ে পড়েন। কী করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না। এ কথা জানতে পারেন ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ। তিনি তৎপরতার সঙ্গে প্রসূতি মাকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন। বি পজিটিভ রক্তের খোঁজখবর শুরু করেন। ঘণ্টাখানেকের প্রচেষ্টায় ওই গ্রুপের রক্তের খোঁজও পেয়ে যান সৌগতবাবু।
কালবিলম্ব না করে রক্তদাতা ক্যানিং থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ইন্দ্রজিৎ অধিকারিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন থানার আইসি। রক্ত দেওয়া হয় প্রসূতির জন্য। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। প্রসুতির স্বামী সন্দীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য ক্যানিং থানার পুলিশ-প্রশাসনের কাছে তাঁরা কৃতঞ্জ।