
স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি বেড়েছে শহরে পার্কিং-এর খরচ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।দিনকয়েক আগে ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রতি একঘণ্টা পিছু দু’চাকা গাড়ি পার্কিং করতে লাগবে ১০ টাকা। চার চাকা গাড়ির পার্কিং ফি বেড়ে দাঁড়ায় ২০ টাকা। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় গাড়ি রাখলে ঘণ্টাপিছু দিতে হবে ১০০ টাকা। বাস এবং লরি রাখার জন্য ঘণ্টাপিছু পার্কিং ফি ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৪০ টাকা।এবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ওই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের কথা বললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কুণাল বলেন, “আমাদের নেতৃত্বের নজরে এসেছে। পুরসভা এলাকায় পার্কিংয়ের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে অনেকটা টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। এই সরকারের উদ্দেশ্য যাতে সাধারণ মানুষের উপর চাপ না পড়ে। ২০১১ থেকে এমন কাজ করেননি তিনি যাতে চাপ তৈরি হয়। তবে এই সিদ্ধান্তে মানুষ বিস্মিত। বিষয়টা নিয়ে কথা বলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত তাঁর অনুমোদন সাপেক্ষে এটা হয়নি।
যে স্তরেই হোক সরকার বা দল এটা অনুমোদন করে না। তিনি চান না কোনও চাপ পড়ুক। তিনি মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হোক।” সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশকে অবশ্য সামান্য বিষয় বলে দেখতে নারাজ বিরোধীরা।এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সরকার কে চালাচ্ছে, সেটা ভেবেই অবাক লাগে।
মমতা দল বাঁচাতে এত ব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন, কাজে মন দিতে পারছেন না।’ দিলীপ ঘোষের মতে, সরকারের আর্থিক অবস্থায় খারাপ হয়ে যাওয়াতেই মন্ত্রীরা আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজছেন। তাতেও বাধা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক জায়গায় বসে মন্ত্রীরা কোনও সিদ্ধান্ত নেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি।