
স্টাফ রিপোর্টার : বীরভূমের মহম্মদবাজারে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এ বিকাশ ভবনের কর্মী-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ।তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অপরজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রানিগঞ্জ থেকে। প্রথমজনের নাম মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান। দ্বিতীয়জন বোকারোর বাসিন্দা মেরাজুদ্দিন আলি খান। ২০২২ সালের জুন মাসে বীরভূমের মহম্মদবাজারে দুটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৮১ হাজার ইলেকট্রিক ডিটোনেটর উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তদন্তের ভার যায় এনআইএ-র হাতে। জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিন্টু শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ।
সেটাই ছিল প্রথম গ্রেপ্তারি। তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদে মীর মহম্মদ ও মেরাজুদ্দিনের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।সেই সূত্রে কলকাতা থেকে বিকাশ ভবনের চুক্তিভিত্তিক কর্মী মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান এবং রানিগঞ্জ থেকে মেরাজুদ্দিন আলি খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।জানা গিয়েছে, মীর মহম্মদ আসলে ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনতে কর্মরত, ওয়েবেলে কাজ করতেন। পরে তাকে ডেপুটেশনে বিকাশ ভবনে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, তার বাবার কারখানায় তৈরি হয় বিস্ফোরক। তার লাইসেন্সও রয়েছে।
আর বাবার গুদাম থেকেই চুপিসাড়ে বেআইনিভাবে বিস্ফোরক সরবরাহ করত মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান। সেই কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হল।এনআইএ সূত্রে খবর, রিন্টু শেখ ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পায় মীর মহম্মদের কাছে। অন্য দিকে, মীরাজুদ্দিন বেআইনি ভাবে ইলেকট্রিক ডিটোনেটর এবং জিলেটিন স্টিক সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ। তাঁদের গ্রেফতার করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকেরা।