স্টাফ রিপোর্টার : রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্ত হয়েছে হাওড়ার শিবপুর। অশান্তিতে ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁরা অনুমতি ছাড়াই মিছিল করেছে। অভিযোগ করেছিল তৃণমূল।শুক্রবার একই দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিষেক জানান, ‘বিজেপির তরফে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি দেয়নি পুলিশ।গায়ের জোরে, গুণ্ডামি করে রুট বদল করেছে বিজেপি। অশান্তি করতে ছোট-ছোট ফল বিক্রেতাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
তাঁর কথায়, “ডিজে বাজিয়ে, কোমরে বন্দুক ঝুলিয়ে কে রামনবমী পালন করে? এধরনের সংস্কৃতি ছোট থেকে দেখিনি। বিজেপির বাংলায় সাংসদের সংখ্যা বৃদ্ধির পর থেকেই এই অশান্তি বেড়েছে।” তাঁর দাবি, দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতারা। তারপরই বলেছিলেন, টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখবেন। ঠিক তারপরের দিনই অশান্তি বাঁধল। তাহলে কি শাহের সঙ্গে দেখা করে দিল্লিতে বসে অশান্তির ছক কষা হয়েছিল? এদিন বিজেপির মিছিলের একটি ভিডিও টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির মিছিলে হাতে বন্দুক নিয়ে রয়েছেন এক বিজেপি সমর্খক। পরে তা কোমরে গুঁজে নিতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিও টুইট করে অভিষেক লিখেছেন, “ফের দাঙ্গার ফর্মুলা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। এক সম্প্রদায়কে অন্যের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা।”
এদিকে হাওড়ার ঘটনার পিছনে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ ও সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে শান্তিরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও করেছেন। ইতিমধ্যে হাই কোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা।