
স্টাফ রিপোর্টার : কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বুধবার থেকে রেড রোডে ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা ধরনায় বসেছে বিজেপি শিবিরও। বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির সব নেতারা উপস্থিত শ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চে। আর বিজেপির সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারকে কার্যত তুলোধনা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।মমতা সরকারের আমলে রাজ্যে ঋণের বোঝা কত, বেকারের সংখ্যা কত, সেই সব পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট ২ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে ৬ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছে দিয়েছেন।
বামফ্রন্ট এক কোটি বেকার তৈরি করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে ২ কোটি করে দিয়েছেন।’এর পাশাপাশি রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাও যে হারে বেড়েছে, সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, ‘২০১১ সালে নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে ৯ গুণ বাড়িয়ে ৪৫ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকে পরিণত করেছেন। এত সংখ্যা কেউ জানত না। লকডাউন যখন সাময়িক শিথিল হয়েছিল, কেন্দ্র শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দিল, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যাটি বেরিয়ে গেল।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নায় বসা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।
তাঁর দাবি, ‘কোনও রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য বা কেন্দ্রের অন্য কোনও মন্ত্রী যারা মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়েছেন, তাঁরা এইভাবে ধরনা দিতে পারেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোনও কিছু মানেন না। তিনি সব সময় একটা জিনিসই মানেন, এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং। তিনি কোনও নিয়ম কানুনের ধার ধারেন না। তাই তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ধরনায় বসেছেন। পরে কোনও শুভানুধ্যায়ী বলে দিয়েছে, এটা বেআইনি হয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি মাঝখানে মাইক কেড়ে নিয়ে বলেছেন ওখানে, আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বসিনি। আমি তৃণমূলের সুপ্রিমো হিসাবে বসেছি’।শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আজকে রেড রোডে ধরনা দিচ্ছেন।
এবং সেই ধরনাতে এয়ার কুলার, ঠান্ডা জল, দুধ ও চিনি ছাড়া ভালো লিকার চা – কফি ইত্যাদি সমস্ত ব্যবস্থা আছে’।এদিনের সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের কথা মনে করান শুভেন্দু। আমফানের ত্রাণ দুর্নীতি থেকে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি।