
এদিন শহীদ মিনারের ছাত্র যুব সভা থেকে একযোগে বিজেপি ও সিপিএমকে আক্রমণ শানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিল্লি অচল করার।অভিষেক বলেন, ”কথায় কথায় সিবিআই? ২১ মাসে ২১টা সিবিআই হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে ১০০ টা সিবিআই করুন। কিন্তু ১০০ দিনের কাজের জন্য ১৭ লক্ষ মানুষের টাকাটা আগে ছাড়ুন। না হলে আমি কিন্তু দিল্লি অচল করে দেখাব। বাংলার পাওনা দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব।”রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা বলেন তিনি। বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি না।
কিন্তু যে পদ্ধতিতে তাঁকে সরানো হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক! আর তা বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, গত নির্বাচন অর্থাৎ ২০২১ সালে বাংলায় প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী দিদি ও দিদি বলে আক্রমণ করেছেন। আর এর মাধ্যমে গোটা মহিলা সমাজকে অপমান করেছেন তিনি। তাহলে মোদী পদবী নিয়ে যদি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয় তাহলে কেন মহিলা সম্প্রদায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করার জন্যে প্রধানমন্ত্রী পদ খারিজ হবে না কেন? তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিবিআই, ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের গলায় এই অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছে। বুধবার শহিদ মিনারের সভামঞ্চ থেকে আরও একবার সেই অভিযোগই করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘সারদা কাণ্ডে ধৃত কুণাল ঘোষ এবং মদন মিত্রকে একসময় অভিষেকের নাম বলতে জোর করা হয়। বললেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও শর্ত দেওয়া হয়।
আমার জন্য আলাদা আইন করার দরকার নেই। যদি প্রমাণ করতে পারে আমি দুর্নীতিতে যুক্ত তাহলে যাই হোক, যে ইস্যুতেই হোক শহিদ মিনারের মঞ্চে ফাঁসি বরণ করব।’এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এজেন্ট প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের জমির দলিল উদ্ধারের ঘটনাকে টেনে আনেন অভিষেক। আর সেই যুক্তিতে দিলীপকে গ্রেপ্তারির দাবিও জানান তিনি। পাশাপাশি কর্মীদের উপর অত্যাচার হলে কাউকে রেয়াত করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি অভিষেকের।