
স্টাফ রিপোর্টার : ১০ রাজ্য সরকারি আধিকারিকের বদলি নিয়ে উঠল প্রশ্ন। ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্যই কি বদলি? এই অভিযোগই তুলছেন আন্দোলনকারীরা।নবান্নের তরফে সেই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাউকে অর্থ দফতর থেকে বিডিও অফিসে বদলি করা হয়েছে, আবার কাউকে বিডিও অফিস থেকে বন দফতরে পাঠানো হয়েছে। যদিও সরকারি কর্মীদের যে কোনও সময় বদলির নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে, তবে আন্দোলনকারীদের দাবি,
যে ১০ জনের নাম তালিকায় রয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময় ডিএ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। এছাড়াও সরকারের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই, ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। যাঁরা ১০ মার্চ কাজে যোগ দেননি, তাঁদের শোকজ় করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির তরফে। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নিয়েই ফেলল রাজ্য সরকার। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যাঁদের শোকজ়ের জবাব সন্তোষজনক নয়, তাঁদের মার্চ মাসের স্যালারি থেকে একদিনের বেতন কাটা যাবে।
এমন একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে।এদিকে সরকারি দফতরে কর্মীদরে হাজিরা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা।নির্দেশিকায় নবান্নর তরফে জানানো হয়েছে, সকাল সওয়া দশটার মধ্যে কর্মীরা যদি অফিসে না আসতে পারেন, তাহলে তাঁকে ‘লেট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এরকম তিনদিন ‘লেট’ হলে একটি ক্যাজুয়াল লিভ কাটা যাবে।