প্রদীপকুমার সিংহ, বারুইপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার মধ্য কল্যাণপুরের দিশা প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালনায় আলি জবরজং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলের ১২০ জন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বধির মানুষকে শ্রবণ যন্ত্র দেওয়া হল বৃহস্পতিবার। দিশা প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রিন্সিপাল মধুসূদন মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনারর ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, লক্ষ্মীকান্তপুর, বারুইপুর, কুলতলি, সোনারপুর প্রভৃতি অঞ্চলের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বধির মানুষকে শ্রবণ যন্ত্র বা কানে শোনার মেশিন দেওয়া হয়।
এই অনুষ্ঠানে অনেক মানুষই দু’কানে শোনার জন্য মেশিন নিয়েছেন। আবার অনেকে এক কানে খারাপ থাকায় মেশিন নিয়েছেন।এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বধির মানুষদের জন্য দিশা প্রতিবন্ধী স্কুলের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আবার অনেক উচ্চশিক্ষিত বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষও কানে শোনার মেশিন নিয়েছে এখান থেকে। কলা বিভাগে দ্বিতীয় বছরের পাঠরতা এক ছাত্রী কুসুম খাতুনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলায় ছয় বছর বয়সে তাকে একটা ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল।
তারপর থেকেই সে কানে কম শোনে। সেই থেকে তার অভিভাবক অনেক সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার দিশা প্রতিবন্ধী স্কুলে এলে তাঁর কানের শোনার যন্ত্রটি বিনামূল্যে দেওয়া হয়। যদিও তিনি এখন মগরাহাট কলেজে কলা বিভাগের দ্বিতীয় বছরের ছাত্রী।
এদিন বেশ কিছু প্রতিবন্ধী মানুষ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি এলাকা থেকে এসেছিল। প্রায় ১২ জন প্রতিবন্ধী মানুষকে এই অনুষ্ঠান থেকে কানের শোনার মেশিন বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। আবার কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এখানে আসেন তাঁদের কান পরীক্ষা করার জন্য।