খবররাজ্য

‘বলতে শুরু করলে রাস্তায় বের হতে পারবেন না’, তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

স্টাফ রিপোর্টার : শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষ কেউ দুর্নীতির বাইরে নন! আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, একাধিক লোককে শুভেন্দু চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। কেন বিরোধী দলনেতা তদন্তের আওতায় আসবে না তা নিয়েও প্রশ্ন শাসকদলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। আর এর মধ্যেই এই ইস্যুতে কার্যত বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী।বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, বুধবার রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে গোটা চিত্রনাট্যটি সাজানো হয়েছে।

আর তা ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতার দাবি, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের ফোন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলেই সব সামনে চলে আসবে। এমনকি এক্ষেত্র নাম না করে কুণাল ঘোষকেও জিজ্ঞেসাবাদের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। বিকেল চারটে থেকে চারটের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের ঘরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়কার জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এমনকি জেল সুপারের ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করার দাবিও তুলেছেন তিনি।

তবে এই সব করে কিছু হবে না বলে মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের এই বিধায়ক। তাঁর মতে, বহুদিন ধরেই বিধায়ক এবং তাঁর আগে সাংসদ। দীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে একটা চিরকুট কিংবা আমার এলাকার স্কুলের জন্যে একটা চক-ডাস্টার চেয়েছিল দেখাতে পারবে। আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘৃণা করি… আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের মূল বলেও এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।অন্যদিকে চিটফান্ডের টাকাতে ভোট করানোর অভিযোগ বিরোধী দলনেতার।

তিনি বলেন, মুকুল রায় ডিস্ট্রিবিউটার ছিলেন। ২০ লাখ টাকা করে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে। একমাত্র উপেন বিশ্বাস নেননি বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এমনকি ২০১৪ সালেও কে ডি সিংয়ের টাকাতে ভোট করানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর। ফলে বেশি না ঘাটানোর হুঁশিয়ারি। আর এরপরেই শুভেন্দুর চালেঞ্জ, আমি এখনও যা যা জানি বলতে শুরু করলে রাস্তায় বের হতে পারবেন না।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!