
স্টাফ রিপোর্টার : ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাজ্যজুড়ে শিশুমৃত্যু।মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ফুলবাগানের বিসি রায় শিশু হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া উপসর্গ নিয়ে ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১ টা নাগাদ নদিয়া রানাঘাটের বাসিন্দা নয় মাসের শিশুপুত্রের মৃত্যু হয়েছে।পরিবারের দাবি, অ্যাডিনো আক্রান্ত ছিল ওই শিশু। গত ৫ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।ভোররাতে মৃত্যু হয়েছে তার।অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা ২১ মাসের এক শিশুকন্যারও মৃত্যু হয়েছে।
জ্বর, শ্বাসকষ্ট-সহ অ্যাডিনোভাইরাস উপসর্গ নিয়ে প্রথমে বারাসত হাসপাতাল পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। গত ১৫ মার্চ থেকে বি সি রায় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল ওই শিশুটি।একই উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বাসিন্দা ১১ মাসের শিশু পুত্রের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া নিয়ে প্রায় ৪ দিন ধরে এইচ ডি ইউ তে ভর্তি ছিল ১১ মাসের ওই শিশু।বি সি রায় হাসপাতালে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ চাঁদপাড়ার বাসিন্দা সাড়ে চার মাসের শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে এই একইভাবে।
এরও জ্বর,শ্বাসকষ্ট ছিল। জন্মের পরই নানাবিধ শারীরিক সমস্যা ছিল, আইসিইউ তে বাচ্চাটি ছিল গত ৬ দিন ধরে।উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বাসিন্দা দেড় বছরের শিশুপুত্র,৬ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল,জ্বর,খিঁচুনি,শ্বাসকষ্ট ছিল শিশুটির। ,স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ৪ দিন আগে খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় বি সি রায়-এর আইসিইউতে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। তাকেও বাঁচানো যায়নি। উত্তর ২৪ পরগনার বড় জাগুলিয়ার বাসিন্দা তিন বছরের শিশুপুত্ররও মৃত্যু হয়েছে একাধিক একই উপসর্গে।
শিশুটি এডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে দাবি পরিবারের।শিশুদের সংক্রমণ নিয়ে রোগের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। অ্যাডিনোভাইরাস–সহ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (এআরআই) রোধে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।