স্টাফ রিপোর্টার : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। তাঁর গ্রেফতারির পরই ইডির নজরে তাঁর বান্ধবীর নাম উঠে এসেছে। শনিবার অয়নের সল্টলেকের ভাড়া বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। ইডি সূত্রে খবর, ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবারই বান্ধবীর কাছ থেকে একটি মেসেজ পেয়েছিলেন অয়ন। সেখানে ইডির অভিযানের আগাম সতর্কবার্তাও ছিল। ইডির হাতে অয়ন ও তাঁর বান্ধবীর একটি চ্যাট হিস্ট্রি উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে দেখা গিয়েছে সেই বান্ধবী অয়নকে সতর্ক করে লিখেছেন, ইডি যে কোনও সময় রেইড করতে পারে, জিনিসপত্র সরাতে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কোনওভাবে কি ইডির দফতরেও অয়নের বান্ধবীর কোনওরকম যোগসূত্র রয়েছে? যাঁর মাধ্যমে একদিন আগেই তিনি জানতে পেরেছিলেন ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।শ্বেতা কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন৷ কবে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কীভাবে চাকরি হল, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি৷ পুরসভা সূত্রে খবর, গত শনিবার ইডি অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়ার পর থেকেই শ্বেতা আর কামারহাটি পুরসভায় তাঁর কর্মস্থলে আসেননি আসেননি৷
কানমারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে পুরসভার চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্বেতা৷ নৈহাটির জেলেপাড়ার বাসিন্দা শ্বেতা। তাঁর বাবা স্বীকার করে নিয়েছেন, অয়নের সৌজন্যেই শ্বেতা চাকরি পান, টাকাও নিয়েছিলেন৷ইতিমধ্যেই ইডি-র নজরে এসেছে শ্বেতার একাধিক সম্পত্তি৷ইডি সূত্রে খবর, অয়নের থেকে প্রাপ্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির নথি থেকে প্রায় ৫০ কোটি লেনদেনের হিসাব পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্য একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে শ্বেতা চক্রবর্তীর নামেও। তবে অয়নের নথিতে নাম থাকা শ্বেতাই কামারহাটির পুরসভায় কর্মরত শ্বেতা কি না সে বিষয়েও ইডির তরফে কিছু জানানো হয়নি।
ইতিমধ্যেই ইডি-র নজরে এসেছে শ্বেতার একাধিক সম্পত্তি৷ শ্বেতা একজন উঠতি মডেল, সেভাবে সফলও নন৷ তাঁর এত বিপুল সম্পত্তি কীভাবে হল, তা জানতে চায় ইডি৷ প্রয়োজনে শ্বেতাকে তলবও করা হতে পারে৷ ইডি-র সন্দেহ, দুর্নীতি থেকে পাওয়া অয়নের টাকাতেই বিপুল সম্পত্তি করেছিলেন শ্বেতা৷ ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ব্যাঙ্ক ট্রানজাকশনের নথি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি শ্বেতার অন্যান্য কোথায় কী সম্পত্তি আছে, আয়কর রিটার্ন কী জমা দিতেন তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।