ডিএ মঞ্চে নওশাদকে ধাক্কা! ধৃত হামলাকারী যুবক
স্টাফ রিপোর্টার : ডিএ মঞ্চে নওশাদ সিদ্দিকির গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।গত ৫০ দিনেরও বেশি শহিদ মিনারের নীচে ডিএ-এর দাবিতে ধর্না দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা৷ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নামে এই অবস্থান বিক্ষোভ চলছে৷কয়েকদিন আগেও ওই ধর্না মঞ্চে গিয়ে কর্মচারীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক৷ শনিবার ফের সেখানে যান তিনি৷
মঞ্চে আইএসএফ বিধায়ক যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন আচমকাই মঞ্চে উঠে নওসাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান এক যুবক৷ নওশাদকে কিছু প্রশ্ন করেন তিনি৷ নওশাদকে কিছু জবাব দিতেও দেখা যায়৷ অভিযোগ, এর পর মুহূর্তেই বিধায়ককে ধাক্কা মারেন ওই যুবক৷এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে কিছুটা থতমত খেয়ে যান নওশাদ নিজেও৷ ততক্ষণে মঞ্চে উপস্থিত বাকিরা ওই যুবককে ঘিরে ধরেন৷
ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়৷ পরিস্থিতি শান্ত করতে নওশাদ নিজেই ওই যুবককে কিছু না বলার জন্য মাইকে অনুরোধ জানান৷ এই ঘটনা ষড়যন্ত্র বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে৷ এই ঘটনার পর নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “পরিকল্পনা করে এই আন্দোলনটাকে ভুলুন্ঠিত করার চেষ্টা করছিল। ধন্যবাদ যাঁরা আছেন, এখানে সকলেই শিক্ষিত মানুষ। তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
পুলিশের এখন কাজ সত্যটা জনমানসে আনা। কে এসেছিল, কেন এসেছিল সেটা সকলের সামনে আনা দরকার।” ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, এই ব্যক্তি বহিরাগত। কারও অনুমতি ছাড়াই আন্দোলনের মঞ্চে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। ধৃতকে ময়দান থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মঞ্চের তরফে।তবে ওই যুবক কে, কেন আচমকা ভাঙড়ের বিধায়ককে ধাক্কা দিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”এই ধরনের চড় বা শারীরিক হেনস্থা সমর্থন করি না। এটা সুস্থ রাজনীতি নয়। তবে এই মঞ্চ নাটকের মঞ্চ হয়েছে। নাটকের কোন অঙ্কে কে কি অভিনয় করছে সেটা বলা মুশকিল। এই চড় কাণ্ডের পেছনে যে ঘটনা আছে বলা হচ্ছে। তবে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন তাঁরা।”