খবরজেলা

জামাইকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে

বিশ্ব সমাচার, ক্যানিং: হাত-পা বেঁধে জামাইকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল খোদ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম জামাই মোফিজুল মোল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোফিজুল মোল্লার সঙ্গে বছর চোদ্দ আগে বিয়ে হয় দাঁড়িয়া তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের এসমা’র সঙ্গে। দম্পতির এক কন্যা ও দুই পুত্রসন্তান রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোফিজুল। সেই সময় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রীকে একা ঘুরতে দেখেন। কেন একা ঘুরছেন জানতে চেয়ে উত্তর না পেয়ে স্ত্রীকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। এরপর শাশুড়ি সাফাজান মোল্লা ও চার কাকা শ্বশুর ছমির, সিরাজ, জাকির, বাপ্পা মোল্লারা হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে মোফিজুলকে। পরে পাশের একটি খালে ফেলে রেখে চলে যায়।এমন ঘটনা নজরে পড়ে মোফিজুলের মামাতো বোন সানা মোল্লা’র।

রাতের অন্ধকারে বাঁধন খুলে বাড়ির লোকজনকে ঘটনার কথা জানান।শুক্রবার ভোরে মোফিজুলকে উদ্ধার করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।মোফিজুলের দাবি, শ্বশুরবাড়ি এলাকায় একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে গিয়েছিলাম। রাতে আমার স্ত্রীকে একা ঘুরতে দেখে জিঞ্জাসা করেছিলাম, রাতে একা একা ঘুরছ কেন? কোনও উত্তর না পেয়ে একটা চড় মেরেছিলাম।

এরপর চারজন কাকাশ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে হাত-পা বেঁধে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন।নগদ ১০ হাজার টাকা ও বাইক কেড়ে নেন। পরে রাতের অন্ধকারে খালে ধারে ফেলে দিয়ে যায়। আমার মামাতো বোন দেখতে পেয়ে বাঁধন খুলে আমাকে উদ্ধার করে। আমার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয়।

বাড়ির লোকজন আমাকে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার রাতে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।ক্যানিং থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!