
সত্যজিৎ মণ্ডল, ভাঙড়: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে এবার ভাঙড়ের সব তৃণমূল নেতাকে মিছিলে আনলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার নবনির্বাচিত পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে সচেষ্ট তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাই শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, রেজাউল করিম, শাহজান মোল্লা, কাইজার আহমেদ, বাহারুল ইসলামকে দেখা গেল একই মিছিলে। সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি মিছিলে পা মেলালেন যুবনেতা বাদল মোল্লা, হাকিমুল ইসলাম, কাশেফুল করুব খান, খয়রুল মোল্লারা।
এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব মৌন মিছিল করলেন বাসন্তী হাইওয়েতে। ভাঙড়ের বড়ালি ঘাট থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তায় বিরাট মিছিল করা হয় বৃহস্পতিবার বিকালে।উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় মিছিল শুরু হতে যথেষ্ট দেরি হয়। কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয় এই মিছিলে। কয়েকদিন আগে ফুরফুরা শরিফে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার প্রতি কটাক্ষ করার প্রতিবাদে এই মিছিল করা হয় ভাঙড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
সম্প্রতি ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন শওকত মোল্লা। তারপর তিনি যান ফুরফুরা শরিফে। সেখানেই শওকত মোল্লার উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। তাঁর গাড়ির পিছু ধাওয়া করে বেশ কিছু যুবক। ধিক্কার মিছিল বলা হলেও ঐক্যবদ্ধ তৃণমূলকে দেখানোই ছিল এদিনের মিছিলের মূল লক্ষ্য। মিছিল শেষে শওকত মোল্লা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর বলেন, ফুরফুরা শরিফে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে এদিনের এই মিছিল। ধর্মীয় স্থান থেকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তা কখনওই কাম্য নয়।
আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।
মুখে কালো কাপড় বেঁধে এদিন মিছিলে উপস্থিত হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ভাঙড়ের এক ও দুই ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিলে অংশ নেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এর ফলে বাসন্তী রোডে শুরু হয় যানজট। বিরাট এলাকা জুড়ে এই যানজট হওয়ায় বাসন্তী হাইওয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।