অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
মুচিসা লক্ষীবালা দত্ত হাসপাতালে এবার সিজারের জন্য অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। এজন্য স্বাস্হ্য দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। বজবজ -২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ও এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাম জমানার সময় থেকে এতদঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ এমন একটি অপারেশন থিয়েটার তৈরির দাবি করে আসছিল। কিন্ত বাস্তবে বামেরা তা করতে পারেনি। যা এই তৃণমূল সরকারের সময় হতে যাচ্ছে। এটা হলে বজবজ, বিষ্ণুপুর, বাখরাহাট, ফলতা , পুজালী সহ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার মায়েদের উপকার হবে। সেই দূর কলকাতাতে ছুটতে হবে না।
মুচিসা লক্ষীবালা দত্ত হাসপাতালের এখন ঝা চকচকে ভাব। আগের সেই ভগ্নদশা আর নেই। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, এখানে রোগীদের পরিষেবাগত পরিকাঠামোর খুব সমস্যা ছিল। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ এর ফলস্বরূপ আগের সেই সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। হাসপাতালের ভোল একেবারে বদলে গিয়েছে। যদিও একটা বিষয়ে এখানে ফাঁক ছিল বরাবর। তা হল নর্মাল তথা স্বাভাবিক প্রসবের জন্য অপারেশন থিয়েটার একটা আছে। কিন্ত সিজার বেবি দের জন্য কোনও অপারেশন থিয়েটার নেই।
ফলে সিজার করতে হলে গর্ভবতী মেয়েদের এজন্য দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে বারংবার। সহ সভাপতি সুব্রত বাবু বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে যে নর্মাল প্রসবের জন্য গর্ভবতী মা ভর্তি হয়েছেন এখানে। কিন্ত শেষ পর্যন্ত দেখা গেল তাঁর সিজার করতে হবে। তখন দ্রুত কলকাতার দিকে হাসাপাতালে যেতে গিয়ে মা কখন মারা গিয়েছে। কখনও নবজাতক মারা গিয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়টি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বলা হয়। তিনি এর গুরুত্ব বুঝতে পেরে জেলাশাসক কে ব্যবস্হা নিতে বলেন।
তারপর এ নিয়ে প্রশাসন থেকে একটি প্রস্তাব স্বাস্হ্য দপ্তরে পাঠানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার তৈরির ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এজন্য অর্থ মঞ্জুর হয়েছে। এটা হয়ে গেলে এই তল্লাটের চার থেকে পাঁচটি ব্লকের হবু মেয়েরা উপকৃত হবেন।