খবরজেলা

যোগাসনে সাফল্য এনে দিল কাকদ্বীপ মহকুমার ৩ ছাত্রছাত্রী

রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, কাকদ্বীপ: যোগাসনে রাজ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক, রৌপ্যপদক এবং ব্রোঞ্জের পদক উপহার দিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমাকে গৌরবান্বিত করেছে তিন কৃতী ছাত্র-ছাত্রী। এরা হল প্রিয়দীপ মণ্ডল, বর্ণিতা ঘরামি এবং অঙ্কিতা গিরি। প্রিয়দীপ কাকদ্বীপের মধুসূদন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশালাক্ষী বিদ্যামন্দিরের ছাত্র, বর্ণিতা সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতারামপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের ছাত্রী এবং অঙ্কিতা পাথরপ্রতিমা ব্লকের দুর্বাচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সেখানে ৩৪টি ইভেন্টের খেলা হয়। যার মধ্যে যোগাসন ছিল একটি ইভেন্ট। এই যোগাসন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে প্রিয়দীপ মণ্ডল, দ্বিতীয় হয়েছে বর্ণিতা ঘরামী এবং তৃতীয় অঙ্কিতা গিরি। এদের মধ্যে প্রিয়দীপকে স্বর্ণপদক, বর্ণিতাকে রৌপ্যপদক এবং অঙ্কিতাকে ব্রোঞ্জের পদক সহ একটি করে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। তিনজনই মাতঙ্গিনী যোগাসন কেন্দ্রে যোগব্যায়ামের অনুশীলন করে বলে জানান ওই কেন্দ্রের প্রশিক্ষক অরিন্দম ঘাটা ও তন্ময় পাইক। অরিন্দমবাবু জানান, এদের কঠোর পরিশ্রম আজকের এই জয় এনে দিয়েছে।

রাজ্য সরকার এই প্রথম যোগাসনকে স্কুল স্পোর্টসের স্বীকৃতি দিয়েছে। মাতঙ্গিনী যোগাসন কেন্দ্রের নাম উজ্জ্বল করার জন্য তাঁরা খুবই আপ্লুত এবং অভিভূত হয়েছেন বলে জানান অরিন্দমবাবু। প্রিয়দ্বীপের বাবা পেশায় একজন সবজি দোকানদার। বর্ণিতার বাবা কৃষকবন্ধুর সহযোগী কর্মী এবং অঙ্কিতার বাবা একজন দিনমজুর। ছেলেমেয়েরা যাতে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ-বিদেশে স্পোর্টসে রেকর্ড করতে পারে, তার জন্য প্রিয়দ্বীপ, বর্ণিতা এবং অঙ্কিতার অভিভাবকরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

তিনটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নেই এবং পরিকাঠামো খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে বলে জানান বিশালাক্ষী বিদ্যামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার বেতাল, সীতারামপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার হালদার এবং পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঘুপতি মণ্ডল।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!