Thursday, April 25, 2024
spot_img
Homeজেলাজাতীয় পুরস্কার পেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল

জাতীয় পুরস্কার পেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল

প্রদীপ কুমার সিংহ, বারুইপুর : বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। যার ফলে রোগীর চাপ অনেকটাই বেড়েছে হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে এখানে রোগীরা আসেন ভালো চিকিৎসা ও পরিষেবা পাওয়ার জন্য। আর তাই বারইপুর মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা সবসময় ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে প্রসূতি বিভাগের রোগীরা ভালই চিকিৎসা পান বলে, রোগীর আত্মীয়দের দাবি।সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৃণমূল স্তরে প্রসূতি পরিষেবার নিরিখে জাতীয় স্তরে কেন্দ্রের স্বীকৃতি আদায় করে নিল বাংলার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল। এই স্বীকৃতি রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাফল্যকে আরও একবার নজির করে রাখলো। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মুকুটে সংযোজন হল আরও একটি নতুন পালক।

জাতীয় পুরস্কার পেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল

ন্যাশনাল কোয়ালিটি এসিওরেন্স স্ট্যান্ডার্ড ফি বছর দেশের সব সরকারি হাসপাতালের পরিষেবার মান খতিয়ে দেখে। তার আগে অবশ্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিবেচনায় প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়ে এই দুই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ওঠে। তারপর রাজ্য থেকে এই দুটি হাসপাতালের নাম কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিচারের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তারা সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম দুই হাসপাতালের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরের মূল্যায়নে ৮৭ থেকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্বীকৃতি আদায় করেছে বসিরহাট ও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল।

জাতীয় পুরস্কার পেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল

তবে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীরাজ রায় হাসপাতালের সাফাই কর্মী থেকে চিকিৎসক নার্স সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সহকর্মীদের সহযোগিতা ছাড়া এই সম্মান পাওয়া যেত না।। এর ফলে আগামী তিন বছরের জন্য আর্থিক পুরস্কার পাওয়া যাবে, যা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের কাজে লাগবে।।
পরিচ্ছন্নতা থেকে চিকিৎসা বিধি সব ক্ষেত্রেই প্রসূতি ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিতে লক্ষ্য নামে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি মাপকাঠি রয়েছে। যার মূল উদ্দেশ্য লেবার রুমের মানোন্নয়ন করে পরিষেবা নিশ্চিত করে প্রসূতি ও শিশুর মৃত্যুর হার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যায়

জাতীয় পুরস্কার পেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল

বারুইপুর হাসপাতাল এর অধ্যক্ষের কথায়, টানা দুদিন ধরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রসবের সময় বিশেষজ্ঞরা নজরদারি করেছেন। রীতিমতো অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন আমাদের এই বারইপুর মহকুমা হাসপাতাল। এমনকি প্রসূতি ও প্রসবের পর টিকাকরণ এই বিষয় গুলি খাতা ধরে খুটিয়ে দেখার পর স্বাস্থ্য ভবন থেকে ইমেইল করে পুরস্কারের কথা জানানো হয়েছে।

জাতীয় পুরস্কার পেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল

মাসে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ থেকে ৮০০ জন মহিলাদের এখন প্রসব করা হয়। তার মধ্যে ২৪০ জন মহিলার সিজার হয়। এই হাসপতালে প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন প্রসূতি মহিলার প্রসব করা হয়। তবে এই পুরস্কার পেয়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অস্থায়ী স্বাস্থ্য কর্মীরা খুবই আনন্দিত।

Most Popular