Tuesday, April 16, 2024
spot_img
Homeজেলাবারুইপুরে আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রী

বারুইপুরে আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রী

প্রদীপকুমার সিংহ, বারুইপুর: ন’মাসের বাচ্চাকে রেখে দিয়ে স্বামী ও স্ত্রী আত্মহত্যা করলেন। স্বামীর নাম সুজয় দাস (১৯) এবং স্ত্রীর নাম বসুমতী দাস (১৮)। বসুমতী পরিচারিকার কাজ করতেন। সুজয় কোনও কাজ করতেন না। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের দেপাড়া রেল কলোনিতে। পরিবার সূত্রের খবর, সুজয় ও বসুমতী প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে দু’বছর আগে বিয়ে করেন।

বারুইপুরে আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রী

কিন্তু সুজয়ের বাড়ির লোকেদের আপত্তি ছিল। সুজয়ের মা, দিদি ব্যাপারটা মেনে না নেওয়ায় বসুমতীর বাড়ির কাছে একটা ঘরে ভাড়া থাকতেন দু’জনে। এক বছর পর তাঁদের একটা কন্যাসন্তান হয়। আশপাশের বাড়ির লোক জানেন না কী করে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। দু’জনে ভালোই সংসার করছিলেন। যদিও সুজয় রাত করে বসুমতীর ঘরে আসতেন এবং ভোরে নিজের বাড়িতে দিদির কাছে চলে যেতেন।

বারুইপুরে আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রী

যদিও বসুমতীর বাপের বাড়ির লোকেরা বলেন, যেহেতু বসুমতী পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন, তার জন্য সুজয়ের বাড়ির লোকেরা জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য চাপ দিত। কিন্তু বসুমতীর মা বলেছিলেন, মেয়েকে সুজয় বাড়ির লোকেরা মেনে না নেওয়ায় জিনিসপত্র দেবে কোথায়? এই ব্যাপারে এক নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা স্বপন নস্কর জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল।

বারুইপুরে আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রী

তারপর স্ত্রী বিষ খান ও স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁদের ন’মাসের কন্যাসন্তানের গলার আওয়াজ শুক্রবার সকালে বসুমতীদের ঘর থেকে শোনা যায়। পাশের বাড়ির লোক বসুমতীকে অনেকবার ডাকাডাকি করলেও না ওঠায় শেষে সকাল ন’টা নাগাদ বারুইপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দরজা খুলে দেখে, সুজয় ঘরে সিলিংয়ে দড়ি দিয়ে ঝুলছে এবং মেঝেতে বসুমতী শুয়ে আছে।

বারুইপুরে আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রী

সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাঁদেরকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। হরিপুর থানার পুলিশ ওই মৃত ব্যক্তিদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে।

Most Popular