স্টাফ রিপোর্টার: তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আর্জিতে সাড়া দিল না দিল্লি হাই কোর্ট।দিল্লি যাত্রা রুখতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যদিও এখন ইডি দিল্লিতে আনতে চাইছে। এই মামলা দিল্লির নয়। তাও আনতে চাইছে। ১৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এই পরিস্থিতিতে সোম অথবা মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য হোক।আইনজীবী জানান, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের আগের নির্দেশ মতো তৃণমূল নেতাকে শুক্রবারই দিল্লি নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি।
অথচ গত বছর ডিসেম্বরে শুনানির সময় মৌখিক ভাবে বলা হয়েছিল, হাই কোর্টে মামলার বিচার চলাকালীন দিল্লি নিয়ে আসা হবে না। বিচারপতি শর্মা বলেন, ‘‘এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেবে না আদালত। বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। পরে অনুব্রতের আইনজীবী সিব্বল উপস্থিত না থাকায় এই মামলার শুনানি ওই সময়ের জন্য স্থগিত করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট।’’ এদিকে এদিন অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘শরীর কেমন আছে?’
তখন অনুব্রত প্রথমে জানান, তিনি ভালো আছেন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিচারককে জানান। তিনি বলেন, ‘শরীর ভালো নেই। ফিসচুলার জন্য কষ্ট পাচ্ছি। ফিসচুলা ফেটে গিয়েছে। রক্ত বের হচ্ছে।’ অনুব্রতর কাছ থেকে এই কথা শোনার পর জেল কর্তৃপক্ষকে ভালোভাবে অনুব্রতর চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন বিচারক।শুক্রবারের শুনানিতে অবশ্য অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। তাই তৃণমূল নেতাকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।
পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মার্চ ধার্য হয়েছে।সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, শুক্রবারই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে অনুব্রতকে। কিন্তু এদিন বেলা ১২ টা পর্যন্ত আসানসোল জেলে কোনওরকম তোড়জোড় দেখা যায়নি। এমনকী কীভাবে অর্থাৎ ট্রেন নাকি বিমানে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তাও জানা যায়নি। যদিও আইনি দিক দিয়ে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে আপাতত ইডি-র কোনও বাধা নেই।তবে দিল্লি যাত্রা আটকাতে কলকাতা হাই কোর্টেও আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হল না।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (জলু)-এর মৃত্যুর কারণে শুক্রবার বেলার দিকে আদালতের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল ১১টায় এই মামলা শুনবে আদালত। শনিবার হাই কোর্ট বন্ধ থাকলেও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আবেদন জানিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তাই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে কালকের শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে ইডি।