বান্টি মুখার্জি, জয়নগর: তদন্তের স্বার্থে এক নাবালিকার মৃতদেহ কবর খুঁড়ে তোলা হল।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোষা-চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃত নাবালিকার বয়স ১৭। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ধোষা-চন্দনেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকায় এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
কোনও ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই নাবালিকার মৃতদেহটি রাতারাতি কবর দিয়ে দেওয়া হয়। এই খবৱ গোপন সূত্রে পৌঁছে যায় জয়নগর থানার পুলিশের কাছে।ঘটনার তদন্তের স্বার্থে শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন, নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কবর থেকে নাবালিকার মৃতদেহ তোলা হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
স্থানীয় ও মৃত নাবালিকার পরিবার সূত্রের খবর, ওই নাবালিকা ছাত্রী ও ধোষা-চন্দনেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামনগর-গোবিন্দপুর এলাকার বিবাহিত যুবক হাফিজ রেজওয়ান সেখের মধ্যে বছরতিনেক আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
পরে সম্পর্ক আরও গাঢ় হলে ওই যুবকেৱ সঙ্গে নাবালিকার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকা ছাত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল বলে দাবি তার পরিবারের সদস্যদের। এই অবস্থায় এলাকায় গ্রাম্য সালিসি সভাও হয়। কিন্তু নাবালিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে হাফেজ রেজওয়ান সেখ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেয়। ঘটনা জানাজানি হতে লোকলজ্জার ভয়ে ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করে বলে তার পরিবারের সদস্যদের দাবি।
শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জয়নগর থানার পুলিশ কবর থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে না তাকে খুন করা হয়েছে, কেনই বা পুলিশকে না জানিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, সে বিষয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে জয়নগৱ থানার পুলিশ।