রাজকুমার সূত্রধর, কলকাতা ঃ মহেশতলা পুরসভার এলাকা জুড়ে বেআইনি কর্মকান্ড যেন আর থামতে চাইছে না। কোথাও বেআইনি বহুতল হচ্ছে। কোথাও পুকুর ভরাট চলছে। এই সব দেখে বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের আলাদা বিভাগ ও লোকলস্কর থাকলেও সব জায়গাতেই গা ছাড়া ভাব। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতর একটি বহুতল এইভাবে পুলিশ ও পুরসভা এবং প্রশাসনের নজরে এলেও বেআইনিভাবে হয়ে গিয়েছে।
পুলিশের কাছে পুরসভা অভিযোগ করার পর ও গড়িমসি চলছে। এবার এমন ধরণের বেআইনি কাজকর্মের সাক্ষী থাকল ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সেখানেও এক পক্ষকাল ধরে পুকুর ভরাট চলছে। এখানে উদাসীন এ ব্যাপারে যাদের বাধা দেওয়ার দায়িত্ব। এখন দেখার যাক কীভাবে সেই কাজটি চলছে।মহেশতলা পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়নপল্লীতে ছাই ফেলে পুকুর ভরাট চলছে। স্হানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রাতের অন্ধকারের এই বেআইনি কাজ হচ্ছে। উদয়নপল্লীর ভিতরে একটি বারো ফুট পিচ রাস্তার ধারে এই পুকুরটি।
সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ কাটার উপর। এলাকার মধ্য বয়সী এক ব্যক্তির কথায় আমার যুব বয়স থেকে এই পুকুর দেখে আসছি। হিসেব করলে ৩০ বছর আগে ই হবে। সেই সময় এখানে স্নান ও গৃহস্হালীর কাজ হত। এক পক্ষকাল আগে একদিন সকালে ওই জায়গার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নজরে পড়ল ছাই ফেলা হচ্ছে। এমনিতে সিইএসসি র এই ছাই দূষণ তৈরি করে। তার ভিতর জনবসতির মধ্যেই এইভাবে সেই ছাই ফেলে ভরাট কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এ নিয়ে এখানকার অনেকে প্রতিবাদ করেছে। কিন্ত কে কার কথা শোনে।
ওই ভরাটের সঙ্গে যুক্ত দের কথায়, নেতা ধরে এই কাজ হচ্ছে। ফলে কারও কিছু করার ক্ষমতা নেই। স্হানীয় এক শাসক দলের অনুগত ব্যক্তির কথায় ওই জায়গাটি আসলে বাস্তু। ওইখানে বাড়ি করার সময় তিন কাটা জমি থেকে মাটি কাটার জন্য পুকুর হয়েছে। এখন ফের ঘর তৈরির প্রয়োজন। তাই ভরাট করা হচ্ছে। এতে অন্যায় কোথায়? কিন্তু সরকারি আইনে ৯০ দিন কোথাও জল থাকলে তা জলাশয় বলে গণ্য হবে। তার চরিত্র পরিবর্তন করতে হলে ভূমি সংস্কার, পুরসভা র অনুমোদন নিতে হবে।
এখানে তো এই জলাশয়ে ৩০ বছর ধরে জল রয়েছে। তাহলে এটা বেআইনি হল না? এই সব প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দিতে চাননি ওই নেতা। এদিকে মহেশতলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব মোল্লা বিষয়টি জানার পর রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন আমাদের কাছে কেউ এ নিয়ে অবগত করেনি। তবে এইভাবে জলাশয় ভরাট খুব খারাপ। আমরা লোক পাঠিয়ে তা বন্ধ করে দেবো। এসব রেয়াত করা হবে না।