অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় , মহেশতলা ঃ মহেশতলা পুরসভার খোদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব মোল্লা র ওয়ার্ড ১৯ নম্বর এ বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আট ফুট রাস্তার ধারে যেখানে সরকারি নিয়মে দোতলা করা যায়। সেখানে ভাঙ্গিপাড়ায় বাড়িটি চারতলা করেছে। প্লাস্টার হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় ফের এর উপর আরও একতলা র কাঠামো তৈরি হচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান নিজেই এ নিয়ে অসহয়তা প্রকাশ করেছেন। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন ওইখানে বাড়িটি যেভাবে হয়েছে। তা যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে।
তাহলে কি ব্যবস্হা নিয়েছেন? এখনও কেন ভাঙা হল না? এই সব প্রশ্নের উত্তরে ভাইস চেয়ারম্যান বলেন আমরা লোক পাঠিয়ে প্রথমে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হই। এরপর স্টপ করার জন্য নোটিশ পাঠাই। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি। এরপর ফের ডাকা হয়। কিন্ত আসেনি। একেবারে বেপরোয়া ভাব। এরপর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। বেআইনি নির্মাণ কারীকে গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছিল। পুলিশ একবার লোক পাঠিয়ে দায় সারে। আর কিছুই করেনি। তাতে আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই বলতে বাধ্য হচ্ছি চারতলা বাড়িটি বেআইনি ভাবে তৈরি হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
তা হলে কি সর্ষের ভিতর ভূত রয়েছে? সেই কারণেই এই নিস্পৃহ ভাব? মহেশতলা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙ্গিপাড়ায় ওই বেআইনি বাড়ি নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি মহেশতলা থানার ভূমিকা নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলেছেন ওই পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব মোল্লা। তিনি এ কথাও বলেন, শহরে কোথাও কেউ যদি টালি খুলে একটু ছাদ করতে চায়। কিংবা রান্নাঘর মেরামত করার তোড়জোড় করছে।
সেই সময় দেখা গিয়েছে পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। ওই সব জায়গাতেই গিয়ে হুমকি ও ধমক দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসে। কিন্তু এখানে চেয়ারম্যান দুলাল দাসের সিদ্ধান্ত অনুসারে ওই বেআইনি বাড়ির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বলে থানায় অভিযোগ করা হল। কিন্ত পুলিশ কিছুই করেনি। কেন চুপ পুলিশ ? ভাইস চেয়ারম্যান বলেন আমরা চুপ করে থাকব না। ওই বাড়ি ভাঙার জন্য আলোচনা চলছে।
চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল মিটিংয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করে এগোবে পুরসভা। মহেশতলা থানার এক আধিকারিক বলেন পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়েছিল। ওই বাড়ি প্লাস্টার হয়ে গিয়েছে। কিন্ত পুরসভা কোনও অভিযোগ করেনি। করলে ব্যবস্হা নিতাম। কিন্ত পুরসভা তো অভিযোগ করেছে? তাহলে থানা চুপ কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই আধিকারিক একটু ঢোক গিলে বলেন, দেখে নিচ্ছি।