রফিকুল ঢালি, কুলতলি: প্রাক্তন বিধায়কের মদতে কুলতলির সানকিজাহানে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ উঠল এসইউসিআইয়ের প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়কৃষ্ণবাবু। ঘটনার তদন্ত করছে কুলতলি ব্লক প্রশাসন। নিজে উপস্থিত থেকে সবকিছু খতিয়ে দেখেন কুলতলির বিডিও। স্থানীয় ক্লাব বিবেকানন্দ সংঘ এই সমস্ত জমি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, জলনিকাশি খালের উপরেই বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে ঘরবাড়ি। কুলতুলির বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, বিগত ৪৫ বছর ধরে এই বিধানসভা এসইউসি এবং সিপিএমের দখলে ছিল। তারা গাছ কেটে চর দখল করেছে। শুধু তাই নয়, জোর করে মানুষের জমি ও ফিশারি দখল করা হয়েছে। এলাকার মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছি।
তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদার জড়িত। খাল দখল হওয়ার ফলে জল নিকাশি ব্যাহত হবে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হবে বলে আশঙ্কা তাঁর। অন্যদিকে, সিপিএমের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য ও কুলতুলি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা উদয় মণ্ডল বলেন, এই খাল বন্ধ হওয়ার মুখে।
এরফলে বর্ষাকালে বন্যা হলে জল নিকাশির সমস্যা দেখা দেবে। প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের মদতে এই কাজ হয়েছে। প্রশাসন যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়, তার দাবি জানান তিনি। তবে প্রাক্তন বিধায়ক ও এসইউসিআই নেতা জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, ১৯৭৮ সালে বিবেকানন্দ সংঘ ছ’ বিঘা জমি পায়।
এলাকায় লকগেটের প্রয়োজন হলে ১৯৮০ সালে বিবেকানন্দ সংঘ জায়গা দেয়। লকগেটের পাশাপাশি জল নিকাশি খালের জন্যও জায়গা দেয়। খালের দু’পাড়েই ক্লাবের জমি বলে জানান তিনি। বিবেকানন্দ সংঘ স্কুলের প্রয়োজনে জায়গা বিক্রি করেছে। এর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কে নেই বলে জানান তিনি।