সত্যজিৎ মণ্ডল, ভাঙড়: পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি পালন করছেন পেশায় মুহুরি আসরাফ মোল্লা। কখনও ভাঙড়, কখনও জীবনতলা, কখনওবা কালীতলা এলাকায় সম্পূর্ণ নিজের খরচে নিজের উদ্যোগে হেলমেট প্রদান করছেন। পথচলতি যে সকল মানুষের মাথায় হেলমেট নেই, তাঁদের ডেকে হেলমেট পরাচ্ছেন।
যদিও একসঙ্গে একাধিক মানুষকে তিনি হেলমেট দিচ্ছেন না। কেন এভাবে হেলমেট প্রদান? তিনি বলেন, আমরা সাধারণত দেখি অনেক সংগঠন বা পুলিশ আধিকারিকরা বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে হেলমেট প্রদান বা হেলমেট পরার সচেতনা মূলক পাঠ প্রদান করছেন। কিন্তু তারপর যে যাঁর দায়িত্ব ভুলে যান।
আমি ভাঙড়, ক্যানিং এলাকার বিভিন্ন এলাকায় কোনও অনুষ্ঠান ছাড়াই দু’-চারটি করে হেলমেট প্রদান করি। মুখে মুখে প্রচার করি। হেলমেট পরার অনুরোধ করি। মাইক প্রচার বা একসঙ্গে একাধিক লোককে হেলমেট দিলে মানুষের ভিড় বাড়বে। কাজের কাজ কিছু হবে না। সেকারণেই প্রচারের অন্তরালে এই কাজ করছি। শুক্রবার ভাঙড় কলেজের কাছে হেলমেট পেয়েছে কাঁঠালিয়ার আলমগির। হেলমেট ছাড়াই বাইক চালাচ্ছিলেন বছর বাইশের ঐ যুবক।
তাঁকে ডেকে হেলমেট দেওয়ার পাশাপাশি ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ সম্পর্কে নানা কথা বলেছেন আসরাফ। এমনটিই জানান আলমগীর। শুধু আলমগীর নয়, পানাপুকুরের অমিত, মাঝেরআইটের সিরাজুলও এদিন হেলমেট পেয়েছেন। এবিষয়ে ভাঙড় থানার আইসি রেজাউল কবির বলেন, ভালো কাজ। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে এভাবে সমাজের জন্য কাজ করা প্রশংসনীয়। থানার নানা কাজে আসরাফ সহযোগিতা করেন।