
বান্টি মুখার্জী,বাসন্তী, ক্যানিং : কেন্দ্র থেকে আসা বিভিন্ন টিম বা প্রতিনিধি দলকে ‘হাট টি মা টিম’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।আবাস যোজনায় কোনও দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। ১০০ দিনের কাজেও নয়। অথচ দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে এ রাজ্য কেন্দ্রের টীম পাঠাচ্ছে বিজেপি। এই টিম আদতে কোনোও কেন্দ্রীয় টিম নয় । সব হল হাট টি মা টিম।রবিবার বিকালে বাসন্তী ব্লকে দলীয় এক জনসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে এইভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
তিনি বাসন্তীতে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে একটি জনসভাতে বক্তব্য রাখছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল এবং সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, বিধায়ক জয়দেব হালদার, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মন্টু গাজী, জেলা পরিষদ সদস্য শঙ্করী মন্ডল, আবেদা পারভীন, নিলীমা মিস্ত্রী সহ অন্যান্যরা। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, টিম আসছে। কিসের টিম? আবাস নিয়ে কোনো অসঙ্গতি হয়নি। অথচ বছরের পর বছর ধরে সেইসব টাকা আটকে রাখা হয়েছিল। এখন যে লিষ্ট পাঠানো হয়েছে, তা বিগত ২০১৮ সালের।
সেই সময় বহু মানুষের কাঁচা বাড়ি ছিল। এখন অনেকেই মাথার উপর ছাদ দিতে পেরেছে। আর সেগুলোকেই বলছে দুর্নীতি। একটা অনিয়ম পায়নি। যদি কোথাও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তার সঙ্গে আমরা কখনও আপোষ করব না। দুর্নীতি হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। কেন্দ্র ৫৯ লক্ষ নামের লিস্ট থেকে মাত্র ১১ লক্ষের অনুমোদন দিয়েছে। যার এখনও পর্যন্ত কোন টাকা পাঠানো হয়নি। ১০০ দিনের কাজেও কোন টাকা পাঠানো হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের আবাস যোজনায় নাম তুলতে গেলে বাড়িতে ফোন থাকলে হবে না।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ ফোন রাখা চলবে না। এ কেমন ডিজিটাল ইন্ডিয়া। সারা ভারতের মধ্যে কোথাও যদি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কাজ সব থেকে ভালো হয়ে থাকে, সেটা হয়েছে এই বাংলার বুকে। আর তাই তো কেন্দ্র বাধ্য হয়ে প্ল্যাটিনিয়াম পুরস্কার দিয়েছে বাংলাকে। এবং তা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলার জন্য। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প গুলি মানুষের কোন কাজে আসেনা। রাজ্যের প্রকল্প গুলির মত অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে একই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। ফলে বাংলা সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
আর সেই পথ দেশের অন্যতম অগ্রনী পথ।উল্লেখ্য, গত বুধবার বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাসন্তীর মাটিতে দাঁড়িয়ে একটি জনসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। সেদিনে সেই সব বক্তব্যের পাল্টা হিসাবে এদিন সভা করা হয়। মূলত সেই সভা থেকে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন আসল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড থাকলে কাউকে এনআরসির জন্য বাংলা ছাড়তে হবে না। এদিন তারও সমালোচনা করে জবাব দেন মন্ত্রী।
তবে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এদিন সভায় যাওয়ার আগে বাসন্তীর কলতলা মোড়ে বিধায়ক এবং মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে যুব তৃণমূলের কয়েক হাজার দলীয় কর্মী বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি জনসভাতে তাদেরকে কোনভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেছেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।