স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ৭ জন শিক্ষাকর্তারও জেল হেফাজত হয়েছে।বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর জামিনের জন্য সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ”একটা টাকাও নেননি তিনি, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় মানি ট্রেইল? কে টাকা দিয়েছে? অযোগ্য প্রার্থীরদের কথা বলা হচ্ছে, তাতে তাঁর কী ভূমিকা?
সিবিআইয়ের তরফে ‘বৃহৎ ষড়যন্ত্র’-র কথা বললেও তা দেখাতে পারছেন না কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। প্রমাণ দেখতে আর কত দিন সময় লাগাবে?কোনও রকম সুবিচার পাওয়া যাচ্ছে না। সিবিআই পুরো বিষয় ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে। বার বার শুধু বৃহৎ ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। কত জনের বয়ান রেকর্ড করা হবে, তার ঠিক নেই। শুধু বয়ান রেকর্ড হবে বলে হেফাজতে থাকতে হবে! জানি না সিবিআই নতুন কী প্রমাণ পেয়েছে।
মামলা তো আর অনন্তকাল চলতে পারে না।লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে অথচ একটা টাকাও পার্থের কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি। তা হলে সেই টাকার সঙ্গে পার্থের কী সম্পর্ক? ” তিনি আরও বলেন, ”কেস ডায়েরিতে সিক্রেট তথ্য আছে বলে সিবিআই আটকে রাখছে। আইনের কথা বলছে না। এবার তো ‘জলি এলএবি’ সিনেমার মতো ধরনা দিতে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। জেল থেকে বেরিয়ে তো শিক্ষা দপ্তরে চলে যেতে পারবেন না।”গ্রুপ সি-তে দুর্নীতি মামলায় শ্রেণির তদন্তের গতি নিয়ে এদিন ফের প্রশ্ন তোলেন বিচারক।
তবে নবম -দশম মামলার তদন্তের নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে নবম-দশম মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রসন্ন কুমার রায় এবং প্রদীপ সিং। এবার সেই মামলায় দু’জনকে জেলে গিয়ে জেরার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। সওয়াল–জবাবের পর বিচারক ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ৭ জন শিক্ষাকর্তারও জেল হেফাজত হয়েছে।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।পাশাপাশি এদিন আবারও জেলে ঠাঁই হল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে। এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল অনুব্রতকে। কিন্তু এদিন জামিনের আবেদন করেননি অনুব্রতর আইনজীবী।
তবে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটা যাতে আংশিক খুলে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে অনুব্রতর তরফে। এদিন সকালে জেলে একদফা জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপর আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। আদালতে প্রবেশ করার সময় মোটামুটি শান্তই ছিলেন তিনি। মূলত বীরভূমে সম্প্রতি যে শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছিল, সেই তথ্য এদিন আদালতে পেশ করে সিবিআই।