সুদীপ্ত সামন্ত: গঙ্গাসাগরে কেউ আসেন স্নানের মাধ্যমে পুন্য অর্জন করতে আবার কেউবা সেবার মধ্য দিয়েই তা অর্জন করেন। সেই উপলক্ষ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডি.এম.এস এসোসিয়েশনের উদোগ্যে হোমিওপ্যাথি দাতব্য চিকিৎসালয় এই বছর সেবার পঞ্চাশ বছরে পা দিল। সুবর্ন জয়ন্তী বর্ষে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা, হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে জনসাধারণকে জাগ্রত করা এবং যথাসম্ভব তীর্থযাত্রীদের সেবা করা।
১৯৭৪ সালে সাগর মেলায় সরকারী উদোগ্যে প্রথম পা রাখে এই দাতব্য চিকিৎসালয়। ক্যাম্পের প্রবীণ ডাঃ অনন্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, সম্ভবত তখনকার মেলা প্রাঙ্গণে এটিই প্রথম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয়। স্বর্গীয় ডাঃ আর জি সিং-এর তত্বাবধানে আরো ১২ জন অভিজ্ঞ ডাক্তার বাবুদের সাথে নিয়ে চলতো এই ক্যাম্প।
এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে অনন্ত বাবু এই মহান কাজে ব্রতী হন। তারপর থেকে প্রতি বছরই সাগরমেলায় আসছেন তিনি। পুরোনো দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তখন মেলা চত্বর আরো ছোট ছিল, কোথাও কোথাও পায়ের নিচে বিষ্ঠাও পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি।আজ সেইসব দিন গেছে, গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরের পরিসীমা অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চারিদিক পাকা রাস্তা, সরকারি মহল, ব্যারিকেডিং ও ঝলমলে আলোক ব্যবস্থায় মেলার রূপ চেনাই দায়। তার প্রভাবও পড়েছে চিকিৎসালয়ের ওপর। এখন মেলা চত্বরের প্রতিটি জোনে এরকম ক্যাম্প রয়েছে। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এই কাজে ব্রতী হয়েছেন।
তাই বেশি মানুষও আর এই ক্যাম্পে আসে না। তবে যাঁরা এসেছেন এখনো পর্যন্ত তাঁরা সঠিক চিকিৎসা পেয়ে অত্যন্ত খুশি।ডাঃ অনন্ত কুমার জানান মেলা চত্বরে বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ উপসর্গ নিয়েই আমাদের কাছে আসেন। যেমন পায়ে ব্যাথা, ঠান্ডা জলে স্নানের পর কান কটকট করা, বমি ভাব এমনই কিছু সমস্যা। এঁদের মধ্যে আবার কিছু স্থানীয়, যাঁরা এই ক্যাম্প সম্বন্ধে জানেন তাঁরা মেলায় এসে পুরোনো চামড়ার রোগ, কোন বিষাক্ত কীট-পতঙ্গের কামড়ের ওষুধও সংগ্রহ করেন।