Thursday, April 25, 2024
spot_img
HomeUncategorizedগঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

গঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

বিশ্ব সমাচার, সাগর: গঙ্গাসাগরে স্নান মানেই ২ নম্বর বিচ রাস্তা। পুণ্যার্থীরা এক নামেই তা চেনেন। সারা বছর এমনকী মেলার সময়ও এই অংশেই স্নান করতে বেশি পছন্দ করেন তাঁরা। করবেন নাই বা কেন, এটি কপিলমুনি মন্দির বরাবর রাস্তা। স্নান সেরেই সোজা মন্দিরের গেট। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। প্রকৃতির রোষে এই সমুদ্রতটের অংশ বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে।

গঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

নানা চেষ্টা করেও তাকে পুরোনো রূপে ফেরানো যায়নি। ফলে এবার এই অংশে স্নান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর তাই মন খারাপ পুণ্যার্থীদের। এবার অনেকটা ঘুরে গিয়েই সমুদ্রে ডুব দিতে হচ্ছে তাঁদের। কেউ কেউ বলছেন, প্রকৃতির তাণ্ডবে কারই বা কী করার আছে। পুণ্যলাভের জন্য না হয় একটু কষ্টই করে নিতে হবে। এদিকে, এবার সংক্রান্তির আগে থেকে ভালো ভিড় হতে শুরু করেছে গঙ্গাসাগর মেলায়।

গঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

আলো, গঙ্গা আরতির মাধ্যমে জমে উঠেছে গোটা এলাকা।সাগরের এই ২ নম্বর বিচ রাস্তায় পুণ্যার্থীদের ভিড় বেশি হয়। তারপর তিন, চারের দিকে সেই চিত্র দেখা যায়। এবার সেই সুযোগ নেই। বিচের উপর বালির কোনও অংশ নেই। পুরো কাদা মাটিতে ভরে রয়েছে। বেশ কিছু জায়গা স্নানের পক্ষে বিপজ্জনক। গতবারের দুর্যোগে শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল বিচ। সেটা অনেকটাই কাটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে সরকার। তবুও আগের চেহারায় ফেরানো যায়নি।

গঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

প্রশাসন থেকে তাই সেখানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক পুণ্যার্থী তা না জানতে পেরেই চলে আসছেন এই বিচে। তারপর হতাশ হয়ে যেতে হচ্ছে ১ কিংবা ৩, ৪ বা ৫ নম্বর রাস্তায়। প্রশাসনের তরফেও এই বিচের উপর বাড়তি নজর রাখা হয়েছে। কেউ যাতে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে নেমে না যান, তার জন্য সিভিল ডিফিন্সের স্বেচ্ছাসেবকদের যেমন নিযুক্ত করা হয়েছে, তেমনই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে।

গঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

তবে করোনাপর্ব কাটিয়ে এবার জমে উঠেছে সাগরমেলা। মকর সংক্রান্তির আগেই দলে দলে তীর্থযাত্রীরা স্নান করে পুজো দিয়ে যাচ্ছেন। গতবার একেবারে বিপরীত ছবি দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার মেলা চত্বরে লাগাতার আনাগোনা লেগেছিল তীর্থযাত্রীদের। বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসা দোকানদারদের মুখেও চওড়া হাসি ফুটেছে।

গঙ্গাসাগরে ২ নম্বর বিচ বেহাল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

পুজো সেরে বাড়ি ফেরার আগে স্মারক হিসেবে কেনাকাটিরও ভিড়ও লক্ষ করা গেল বিভিন্ন দোকানে। গতবারের মতো এবারও জমকালো সন্ধ্যারতির আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। অযোধ্যা থেকে পুরোহিত এনে এই গোটা কর্মসূচি পালন করা হয়। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আরতির সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

Most Popular