বান্টি মুখার্জি, বাসন্তী: প্রতিবেশীর পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হল এক নাবালিকার দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার এলাকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর খাওয়া দাওয়া করে রাস্তায় খেলতে বের হয়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের লোকজন বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে এই প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর বিষয়টি জানিয়ে বাসন্তী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই নাবালিকার বাবা জাহাঙ্গির মল্লিক। ঘটনার দু’দিন পর শুক্রবার প্রতিবেশী শাহানারা লস্করের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গ্রামবাসীরাই উদ্ধার করেন ওই নাবালিকার দেহ। সেখানেই মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
খবর দেওয়া হয় বাসন্তী থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্তে ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পৌঁছন ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস। প্রতিবেশীদের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ায় সন্দেহ হয় তাদের দিকেই। এই সন্দেহ থেকেই দুই প্রতিবেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহত ওই নাবালিকার মা ইয়াসমিনা মল্লিক বলেন, স্কুল থেকে নতুন বই এনে বাড়িতে আমাদেরকে দেখিয়ে রাস্তা খেলতে বের হয়েছিল মেয়ে। প্রতিবন্ধী থাকায় খুব বেশি জোরে হাঁটতে বা চলতে পারে না ও। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম পুকুরে পড়ে গিয়েছে। পুকুরে জাল ফেলে খোঁজা হয় বুধবার রাতে। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার আরও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। খোঁজ না পেয়ে বাসন্তী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
অবশেষে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে এই দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ। ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, কী কারণে এই খুন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।