
স্টাফ রিপোর্টার: ডাল-ভাত, তরকারির সঙ্গে মিড ডে মিলে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির পড়ুয়াদের পাতে পড়বে মুরগির মাংস আর ফল। সরকারের তরফে মিড ডে মিল বিষয়ক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ মাস, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মিড ডে মিলে এই নতুন খাবার দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের সপ্তাহে তিনদিন ডিম এবং মরসুমি ফল দেওয়া হবে।
এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্যের সকল জেলা শাসকদের এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোন জেলায় কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, তার তালিকা প্রকাশ করা হবে। কীভাবে প্রকল্প কার্যকরী করা হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।শীতের ছুটি কাটলেই পড়ুয়াদের পাতে পড়বে মুরগির মাংস।রাজ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি পড়ুয়াকে মিড ডে মিল ডে মিল দেওয়া হয়।
মুরগির মাংস ও মরসুমি ফল যোগ করার পর ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে রাজ্য। প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়াপিছু অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার।সম্প্রতি মিড–ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতি কমাতে কেন্দ্রীয় মনিটারিং দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রক। বাংলায় একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার পর মিড–ডে মিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্র। এই টাকার ৬০ শতাংশ বরাদ্দ করে কেন্দ্র।
আর বাকি ৪০ শতাংশ আসে রাজ্যের তহবিল থেকেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অল্প সময়কালের জন্য এই সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে।তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘যদি সারা বছর কাজ করে থাকে। তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে মাংস ভাত খাওয়ানোর কী দরকার পড়ল, ফল খাওয়ানোর কী দরকার পড়ল।
মুখ্যমন্ত্রী আসলে বুঝতে পারছেন, আবহাওয়া ঠিক নয়, মানুষ ঘুরে গিয়েছে। মানুষ লুটের টাকা দেখে নিয়েছে।’সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ভাল কথা তো। মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ানোর কথা। অনেকদিন মানুষের দাবি ছিল এটা। কিন্তু এই কদিন কেন? এপ্রিল পর্যন্ত কেন? মে মাসে ভোট বলে? সারা বছরের জন্য করুক এটা।’