খবরজেলা

বিহারের পাথরে আমাদের বদনাম কেন! গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী

বিমল বন্দ্যোপাধ্যায় ঃ হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সময় বন্দে ভারত এ পাথর ছোঁড়া নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এ বিজেপি ও তৃণমূল পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষেদাগার অব্যাহত। বাস্তবে এই পাথর ছোঁড়ার ঘটনাটি কোথায় হয়েছে তা র স্হান টি না জেনে আগ বাড়িয়ে বিজেপি সমালোচনা করায় এখন কার্যত বিপাকে পড়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে দোষারোপ করে ইট ছুঁড়েছিল।

যাতে এই মওকায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায়। কিন্ত পূর্ব রেলের কর্তারা জানিয়েছেন পাথর ছোঁড়ার ওই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ এ হয়নি। বিহার সীমানার ভিতর ঘটেছে। এটা সামনে চলে আসায় বঙ্গ বিজেপি নেতারা ফাঁপড়ে পড়েছেন। তাহলে এখন কি ভাবে তাদের কথা ফিরিয়ে নেবেন? না কি ক্ষমা চাইবেন রাজ্য সরকারের কাছে? এই প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সাগরে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল সাংবাদিককুল। তিনি কড়া ভাষায় এর নিন্দা করেন। তিনি বলেন ঘটনাটি বাংলায় ঘটেনি।

ঘটেছে বিহারে। কিন্ত বিজেপি নেতারা অহেতুক বাংলার বদনাম করেছে। এটা কোনও ভাবে বরদাস্ত করব না। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। আমি এর কড়া নিন্দা করছি। এদিন দ্রুত সাগর থেকে কলকাতার দিকে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে সাজো সাজো রব ছিল । কিন্ত আবহাওয়া খারাপ ও কুয়াশা থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রী দুপুর একটার পর সাগর থেকে হেলিকপ্টার কলকাতার দিকে রওনা দেন।

তিনি হেলিপ্যাডে যাওয়ার সময় তাঁর মুখোমুখি হন মিডিয়ার সকলে। তিনি বলেন বন্দে ভারতে পাথর ছুঁড়ে বাংলার বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।যারা এই ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে তাদের কোনও ভাবে ছাড়া হবে না। আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিহারের মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। গনতান্ত্রিক এই ক্ষোভ থেকে তারা একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাদের কোনও ভাবে অপমান করার অধিকার নেই।

আমি মনে করি তাদের ও এই ট্রেন পাওয়ার অধিকার আছে। সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই বলে কি বিহারে এই ট্রেন দেওয়া হবে না? মমতা বলেন বন্দে ভারত কী? পুরানো ট্রেনকে রঙ করে দিয়েছে। ইঞ্জিন টা ছাড়া সব পুরাতন রেক। ঘষে মেজে ঝকঝকে করে এমনভাবে প্রচার চলছে যেন কি না কি করে ফেলেছ। মমতা র আরও সংযোজন হল আমার সময় ১০০টি করে ট্রেন দিতাম। এখান থেকে সব তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শেষ ১১ বছরে একটাও নতুন ট্রেন নেই। এই একটা ছাড়া। সংবাদমাধ্যম কে বলবো এইভাবে যাচাই ছাড়া ফেক নিউজ করবেন না। এটা বন্ধ করুন।এরপর তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করেন। একশো দিনের পাওনা টাকা না দেওয়ার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন পলিটিক্যাল কারণে কখন এ টিম কখনও বি টিম, সি টিম , এ টু জেড টিম পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।আর কত টিম পাঠাবেন।

কার ও ঘরে নিজস্ব ব্যবসার টাকা থাকলে চলে আসছে বি টিম। একশো দিনের কাজে এক নম্বর হলেও স্রেফ রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্র বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। ভুয়ো জব কার্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন ওর কোনও ভিত্তি নেই। ওরা বলছে এখানে ১১ লাখ ফেক জব কার্ড রয়েছে। আমাদের কাছে এমন তথ্য নেই। অথচ উত্তরপ্রদেশে ৬৯ লাখ, মধ্যপ্রদেশ এ ফেক জব কার্ড আছে। তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। তিনি বলেন ৫০ লাখ নাম এখানে নথিভুক্ত ছিল।

আমাদের সরকার তদন্ত করে ১১ লাখ নাম বাদ দিয়েছে। তিনি বলেন, একশো দিনের টাকা না পেয়ে গরীব মানুষরা ভুগছেন। এই টাকা দয়া করে দিচ্ছেন না। এখান থেকে জিএসটি বাবদ যে টাকা তুলে নিয়ে যায়। তাতে আমাদের হক রয়েছে। সেই টাকাও দিচ্ছে না। তবে আমাদের সরকারও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়।

Related Articles

Back to top button
error: Content is protected !!