
সানওয়ার হোসেন, মন্দিরবাজার: গত ২ জানুয়ারি, সোমবার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন ‘দিদির সুরক্ষা কবচের’। ‘দিদিকে বলো’র পর তৃণমূল এবার নতুন কর্মসূচি নিল ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কর্মসূচি নিয়ে মন্দিরবাজার লিবার্টি হাউজে এক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
এই কর্মসূচিতে জেলার দশজনের একটি দল এবং সুন্দরবন জেলার সবক’টি ব্লকের যুব সভাপতিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ দেন তৃণমূল আইটি সেলের কর্মকর্তারা। এদিন এই কর্মসূচির প্রচার কার্যের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার, চেয়ারম্যান নমিতা সাহা, জেলা মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারি নস্কর, কুলটির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ও জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপি হালদার।
এই কর্মসূচির প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে জয়দেব হালদার জানান, মানুষের জীবনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি কভার করবে এই কর্মসূচি।বাপি হালদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ঘরে পৌঁছে গিয়ে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। মানুষের অভিযোগ সমূহের সমাধান করা। এই কর্মসূচিতে দিদির দূতেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি, দিদির সুরক্ষা কবচ দেওয়াল ক্যালেন্ডার এবং দিদির সুরক্ষা কবচ স্টিকার প্রদান করবে।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি ব্লকের পাঁচজনের একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের অবগত করবে দিদির সুরক্ষা কবচ সম্পর্কে। এবং তাঁদের তথ্য ‘দিদির দূত’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হবে, যাতে জানা যাবে, কোন প্রকল্পগুলির পরিষেবা তাঁদের পাওয়ার কথা। এইভাবে জনপ্রতিক্রিয়া সংগ্রহের একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে। যার মাধ্যমে ত্বরান্বিত করা যাবে সমস্যার সমাধানের পদ্ধতি এবং প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে এই প্রকল্পগুলির পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতিও উন্নত করা যাবে।