
স্টাফ রিপোর্টার : অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পেয়ে এখন যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, এবার তাঁদের নিয়ে আন্দোলনে নেমে কালীঘাট অভিযানের হুমকি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার রানাঘাটে বিজেপি-র সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘দরজা খুলে গিয়েছে। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ৯৫২ জনের চাকরি গতকাল গিয়েছে। এটা সবে শুরু। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ১৮ থেকে ২০ হাজার ভুয়ো চাকরি গ্রুপসি গ্রুপ ডি প্রাইমারি নবম দশম একাদশ দ্বাদশ মিলিয়ে যাওয়া উচিত।
‘
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘এসএসসিতে বলছে ২১৫০২ জনের চাকরি যাওয়া উচিত। কলকাতা হাইকোর্টে আজ ৫৩ জনের চাকরি গিয়েছে। তার মধ্যে নদিয়া জেলার মাতব্বররাও আছে।’এর পরেই হুঁশিয়ারির সুরে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘তিন হাজার ভুয়ো চাকরি দিয়ে ওমপ্রকাশ চৌতালা জেলে গিয়েছেন। দশ হাজার চাকরি বাতিল করে ত্রিপুরায় লাল পার্টির সরকার উঠে গেছে। তৃণমূলের পরিণতিও তাই হবে।
যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদের সবাইকে আমরা ডাকব। গান্ধি মূর্তির নীচে জমায়েত করে বলব টাকা ফেরতের দাবিতে কালীঘাটের দিকে চলো।’ এ দিন নাম না করে ফের একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতে হলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাইনে বন্ধ হয়ে যাবে,
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দিতে গিয়েও টান পড়বে।শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লুট করে পঞ্চায়েত ভোট জিতেছেন ২০১৮ সালে। এ বারের পঞ্চায়েতে যদি মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, কমিশন যদি বিচারব্যবস্থা তৈরি করে দেয়, তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’’
একই সঙ্গে আবাস যোজনা নিয়ে চলা বিতর্কে প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়কের বার্তা, ‘‘বিজেপি মিথ্যা কথা বলে না। বিরোধী দলনেতাও বলে না। আপনারা আগামী পঞ্চায়েতে ভোটে বিজেপিকে জয়যুক্ত করলে ২০২৪ সালের আগে যোগ্যরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাবেন। সেখানে ধর্ম কিংবা দল দেখা হবে না।’’