প্রদীপকুমার সিংহ, বারুইপুর: এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মৃত গৃহবধুর নাম অপর্ণা নস্কর(৩০)। বাড়ি বারুইপুর থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর অঞ্চলের দেবীপুর এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর অঞ্চলের দেবীপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, আট বছর আগে শিকড় বালি নিবাসী অপর্ণার সঙ্গে দেবীপুর অঞ্চলের সৌমেন নস্করের বিয়ে হয়।
তাঁদের সাত বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অপর্ণার ওপর অত্যাচার করত, মারধর করত এবং বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য বারবার চাপ দিত সৌমেন। যদিও অপর্ণার মা এই ব্যাপারে কাউকে না জানিয়ে অনেকবার টাকা দিয়েছিলেন জামাইকে। কিন্তু কয়েকদিন আগে ১০ হাজার টাকা জামাইয়ের চাহিদা মতো দিয়েছিলেন।
রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ অপর্ণার বাপের বাড়িতে ফোন করে সৌমেনের বাড়ির লোকেরা জানান, মেয়ে ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। আপনারা এসে দরজা খুলে মেয়েকে নিয়ে যান। অপর্ণার বাড়ির লোকেরা বলেন, আপনারা দরজা খুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অস্বীকার করলে বারুইপুর থানায় খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ অপর্ণাকে নিয়ে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে এলে চিকিৎসক মৃত বলো ঘোষণা করেন। অপর্ণার বাপের বাড়ির অভিযোগ, মেয়েকে টাকা আনার জন্য বারবার চাপ দিত। টাকা না দিতে পারায় বারবার তার ওপর অত্যাচারও করত। শেষে রবিবার দুপুরে অপর্ণাকে মেরে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়।
এই নিয়ে অপর্ণার বাপের বাড়ির লোকেরা বারুইপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তার ভিত্তিতে অপর্ণার স্বামী সৌমেন নস্করকে বারুইপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং সোমবার সোমেন নস্করকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলে। সেই সঙ্গে অপর্ণার নিথর দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে।