স্টাফ রিপোর্টার: কাঁথিতে সভামঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টাইলেই জনসংযোগ সারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঁথিতে সভা করতে যাওয়ার পথে শনিবার মারিশদায় গাড়ি থেকে নেমে জনসংযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামের এই ঘর থেকে ওই ঘর ঘুরে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ। অভিষেককে হাতের কাছে পেয়ে, গ্রামের মানুষও পাকা বাড়ি নিয়ে ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিলেন তাঁর কাছে।
অভিষেককে জানালেন, তাঁদের পাকা বাড়ি নেই। আমফান বিপর্যয়ের পর মাত্র ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ওই টাকায় কী হয়! তবে গ্রামবাসীরা অভিষেককে এটাও জানান যে, তাঁরা রেশন, ভাতা সবই পাচ্ছেন। কিন্তু মূল সমস্যা বাড়ির। আমফানে ঘর ভেঙেছিল। কিন্তু কোনও সাহায্য় পাননি। কিটও পাননি। বলছে বৃষ্টি হলে এক কোমর জল জমে এলাকায়। অভিষেকের কাছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।
তাঁদের অভিযোগ, কোনও বিষয়ে সই চাইতে গেলে পঞ্চায়েত প্রধান ঘোরায়। হেনস্থা হতে হয় তাঁদের। যে প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের মধ্যে একজন আবার বলেন, ‘এরকম চললে কাকে ভোট দেব আমরা?’ উত্তরে অভিষেকের সাফ জবাব, ‘এর সঙ্গে ভোটের কোনও যোগ নেই।’গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর গাড়িতে উঠে কাঁথির সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক।
গাড়িতে বসে মারিশদার ৫ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতি কে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন তৃণমূল সাংসদ। এরপর কাঁথির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে ইস্তফার নির্দেশ দেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফাপত্র জমা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।