Saturday, April 20, 2024
spot_img
Homeজেলানামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

বিশ্ব সমাচার, নামখানা: গত কয়েক বছর ধরে স্কুলেই চলে আসছে কোচিং সেন্টার। সেই কোচিং সেন্টারে উপস্থিত না থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের ধার্য করার টাকা দিতেই হবে। কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশ কোচিং না করার পাশাপাশি ধার্য টাকা দিতে রাজি নয়। ফলে স্কুলের এই বাধ্যতামূলক কোচিং করানো নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে একাংশ অভিভাবকদের মধ্যে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ইউনিয়ন হাই স্কুলের এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

সিলেবাস শেষ না করে কোচিংয়ে আসার জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শেষে নামখানার বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। তাঁদের সাফ দাবি, কোচিংয়ে অনিচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে সাবজেক্ট পিছু ৭০ টাকা করে মাসিক ৩৫০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্কুলের সিলেবাস স্কুলে শেষ না করে কোচিংয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

এটা বন্ধ করতে হবে। ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অভিজিৎ দে বলেন, কোচিংয়ে যাঁরা যাচ্ছেন বা যাচ্ছেন না সকলের কাছ থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আমরা কোচিং নিতে না চাইলে বলা হচ্ছে, এটা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নাকি অফিসিয়াল অর্ডার রয়েছে। কিন্তু টাকা কেন নিচ্ছে বুঝতে পারছি না। কেনই বা টাকা নিয়ে হবে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

এই কোচিংয়ে শুরুর আগে অভিভাবক বা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এখন বলা হচ্ছে, কোচিংয়ে আসি বা না আসি, টাকা দিতেই হবে। আমরা চাই এই অন্যায় ভাবে টাকা নেওয়া বন্ধ হোক। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা বারিক জানান, সিলেবাস শেষ করা তো স্যারদের দায়িত্ব। তাঁরা সেটা শেষ করতে পারেননি।

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

এখানে সেই সিলেবাস শেষ করার জন্য আমাদের থেকে টাকা নিয়ে কোচিং দেওয়া হচ্ছে। বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। উনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।এ বিষয়ে নামখানা ইউনিয়ন হাইস্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রাণেশনারায়ণ মণ্ডল বলেন, এই কোচিং সেন্টারটি আমাদের স্কুলের দীর্ঘদিনের ট্রাডিশন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে অভিভাবকদের অনুরোধে আমাদের এই কোচিং সেন্টারটি চলে আসছে।

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য আমাদের মাস্টারমশাইদের নিরলস প্রচেষ্টা এলাকাবাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছে বলে তাদের অনুরোধে আমরা এই কোচিং সেন্টার টা চালু করেছি। এখন আমরা জানতে পারছি, কিছু অভিযোগ আসছে। এরপর আমরা শিক্ষকরা এবং পরিচালক সমিতির সঙ্গে আমরা নতুন করে আলোচনায় বসব। পরবর্তীকালে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, কোচিং সেন্টারটি আমরা চালাতে পারব না বন্ধ করে দিতে হবে,

নামখানা স্কুলে কোচিং সেন্টার নিয়ে পড়ুয়াদের অভিযোগ

এই নিয়ে আমরা আরেকবার নতুন করে আলোচনা বসব। আমরা চেয়েছিলাম, য়ে মাস্টারমশাইরা পুজোর ছুটিতে পড়াতে আসবেন, তাঁদের প্রতি বিষয়ে ৭০ টাকা করে দিতে, তাতে যদি অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হন, তাহলে আমরা এর ব্যবস্থা নেব। পুনরায় নতুন করে শিক্ষক এবং পরিচালক সমিতির সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসব।

Most Popular