অমিত মণ্ডল নামখানা: একটা সময় যারা ধান, চাল লুট করত, তারাই এখন টাকা এবং চাকরি লুট করছে। সোমবার নামখানা ব্লকের চন্দনপিড়ি এলাকায় তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানে এসে এ কথা বলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিআইএমের যুব আইকন সায়ন ব্যানার্জি। গত ৬ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কৃষক সভার ডাকে দক্ষিণ চন্দনপিড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় শহিদ স্মরণে তেভাগা আন্দোলনের ৭৫ তম সমাবেশ।
১৯৪৬ সালের মাঝামাঝি এই তেভাগা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় চাষিরা। ভারতীয়রা জমিতে যেটুকু ফসল ফলাতে, তার বেশিরভাগটাই ভোগ করত জোতদার এবং জমিদাররা। আর এদিকে ঋণের বোঝা চাপত কৃষকদের ওপর। ফলে কৃষক সম্প্রদায় জেগে উঠে তেভাগা আন্দোলন করেছিলেন।
১৯৪৬ সালের ডিসেম্বরে বেশ কিছু চাষির নেতৃত্বে গর্জে উঠেছিল এই তেভাগা আন্দোলন। তাঁদের দাবি ছিল, এবার থেকে তিন ভাগ উৎপন্ন ফসলের দুই ভাগ পাবে চাষি এবং একভাগ পাবে জমিদাররা। পূর্ব বাংলা এবং দিনাজপুরসহ পশ্চিমবাংলায় এই আন্দোলন তীব্র আকার নিয়েছিল। এই আন্দোলন করতে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন বহু কৃষক।
আর তারই একটি পীঠস্থান নামখানা ব্লকের চন্দনপিড়ি এলাকা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিআইএমের যুব আইকন সায়ন ব্যানার্জি, কৃষক সভার নেতা-কর্মীরা। সোমবার বিকেলে চন্দনপিড়ি এলাকায় ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের অমর শহীদ সৌধতে মাল্যদান করা হয়।
পরৃ একটি সমাবেশ হয়। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি। তিনি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, একসময় যারা ধান চাল লুট করত, তারাই এখন টাকা এবং চাকরি লুট করছে।