সানওয়ার হোসেন, কুলপি : রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত “চলো গ্রামে যাই” কর্মসূচীর সূচণা করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। এদিন স্থানীয় কুলপি জনপ্রিয় হাই স্কুল প্রাঙ্গণে সভা করেন চন্দ্রিমা। পরে কুলপি গ্রামে গিয়ে কর্মসূচীর সূচনা করেন।
তিনি মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ্য করেন। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য গ্রামীণ মহিলাদের আত্মমর্যাদা বেড়েছে বলে, তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সাল থেকে রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হয়। সেই প্রকল্প আজ বিশ্ব বন্দিত।
এই প্রকল্পের ফলে গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা আজ শিক্ষার আঙিনায় এসেছে। নাবালিকা বিয়ে বন্ধ হয়েছে। রুপশ্রী প্রকল্পের ফলে মেয়েদের বিয়ের খরচের কিছুটা সরকারি ভাবে মিলছে। এই সরকার মহিলাদের জন্য নানান কর্মসূচী নিয়েছে। অতীতে কোন সরকার মহিলাদের জন্য আলাদা করে ভাবেনি।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব মেয়েদের কথা ভেবেছেন। আর রাজ্যের বিরোধীদের এটা সহ্য হয়না। বাংলার নারী শক্তি একদিন সারা দেশকে পথ দেখাবে। পাশাপাশি গ্রামের রাস্তা, নিকাশী, পানীয় জলের ক্ষেত্রে রাজ্যের সদর্থক ভূমিকার কথা উল্লেখ্য করেন চন্দ্রিমা।
এদিন সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারি, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।