স্টাফ রিপোর্টার: বউবাজারে মেট্রোর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের সমাধানসূত্র খুঁজতে শনিবার বিকেলে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, কেএমআরসিএল-এর কর্তারা, পুলিশকর্তারা। বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বউবাজারে একটি ক্যাম্প অফিস তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এসে বাসিন্দারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে তৎপর হবে পুরসভা ও সরকার। এছাড়া এবার থেকে কেএমআরসিএল মাটির নীচে কোথাও খোড়াখুড়ি করলে তা আগে থেকে জানাতে হবে পুরসভাকে।
পুরসভা সেই অনুযায়ী মাটির ওই অংশের ওপরের বাসিন্দাদের হোটেলে বা ভাড়া বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাবে। এতে রাতবিরেতে বাড়িতে ফাটল ধরার যে আতঙ্ক তা এড়ানো যাবে।এছাড়া বৈঠকে কেএমআরসিএল গৃহহীনদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা ও ভাড়াটেদের পরিবারপিছু ১.৫ লক্ষ টাকা ৩০ দিনের মধ্যে দেবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।এদিনের বৈঠকের পর ঘটনাস্থলে যান ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিবসহ পদস্থ আধিকারিকরা।
স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে যানা যাচ্ছে। বউবাজারের ওই এলাকা সোনার গয়নার কারবারের জন্য বিখ্যাত। ধনতেরাসের আগে এই ঘটনায় ব্যাপক মার খাচ্ছে ব্যবসা।