বান্টি মুখার্জি, ক্যানিং: ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী এক শহর ক্যানিং। মাতলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহর সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত। ক্যানিং শহর দিয়েই নিত্যদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ক্যানিং শহর হয়ে নদীপথে কিংবা স্থলপথে সুন্দরবনে পাড়ি দেন । ১৯৩২ সালে হ্যামিলটন সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ক্যানিং হয়ে স্টিমারে করে গোসাবা দ্বীপে গিয়েছিলেন।
কবিগুরুর চরণ স্পর্শে ধন্য হয়েছিল ক্যানিং শহর। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উদ্দেশ্যে ১৮৬৩ সালের ২০ এপ্রিল ক্যানিং শহরেই প্রথম থানার সূচনা হয়, যা আজ ইতিহাস।১৮৬৩ সাল থেকে ক্যানিং শহরের শতাব্দীপ্রাচীন এই থানায় বিভিন্ন সময়ে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হলেও একবারের জন্যও দেবী দশভুজার আগমন ঘটেনি।
১৫৯ বছরের প্রাচীন এই ক্যানিং থানায় নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে চলেছে। ক্যানিং থানার নতুন আইসি ও ক্যানিং থানার পুলিশ প্রশাসনের হাত ধরে দেবী দশভুজার আগমন ঘটবে গজ বাহনে।অন্য যে কোন উৎসবের ন্যায় শারদীয়া উৎসব চলাকালীন পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
দিন রাত ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে হয় তাঁদের, আর পাঁচজনের মতো উৎসবে আনন্দ করতে পারেন না পুলিশ। চিন্ময়ী মায়ের দর্শন করার ইচ্ছা থাকলেও,সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। দেবী দশভুজাকে সামনে থেকে দর্শন করার সুযোগ হয়ে ওঠে না।
সমস্ত দায়দায়িত্ব সামাল দিয়ে শতাব্দী প্রাচীন এই থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের হাত ধরে সপরিবারে পুলিশকর্মীরা আনন্দে মাতোয়ার হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।