বান্টি মুখার্জি, ক্যানিং: ছাগল বালতির মধ্যে মুখ ডুবিয়ে জল খেয়েছিল। আর তা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে এমন কৈফিয়ত চেয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা হয়। সেই সময়ের মতো সমস্যা মিটে গেলেও রাতে দুই পরিবারের মধ্যে আবারও বচসা শুরু হয়। পরে মারামারি বেধে যায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন একপক্ষের দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ বাসন্তী থানার অন্তর্গত উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙ্গী গ্রামে।
ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন শঙ্কর দোলুই ও তাঁর স্ত্রী পুষ্প দোলুই। খবর পেয়ে ওই রাতেই বাসন্তী থানার পুলিশ আক্রান্তদের উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দম্পতি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শঙ্কর দোলুইয়ের একটি ছাগল তাঁর ভাই কানাই দোলুইয়ের বাড়িতে হাজির হয়।
সেখানে একটি বালতিতে রাখা জলে মুখ ডুবিয়ে ছাগল তার তৃষ্ণা মেটায়। কেন ছাগল বালতিতে মুখ ডুবিয়ে জল খাবে, এই প্রশ্ন তুলে ঝগড়া শুরু করে কানাই। রাতে কানাই দোলুই, কানাইয়ের স্ত্রী সুমিত্রা ও ছেলে অলোক দোলুইরা মুগুর দিয়ে অতর্কিতে শঙ্কর দোলুইয়ের স্ত্রী পুষ্প দোলুইয়ের মাথায় সজোরে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন পুষ্প।
স্ত্রীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যান শঙ্কর। অভিযোগ, তাঁকেও মুগুর দিয়ে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পাড়া প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে এলে তাঁদের উপরও মুগুর, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় কানাই ও অলোক।এরপর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ওই দম্পতি সংঞ্জাহীন অবস্থায় পড়ে থাকেন।
খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারাই গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।পাশাপাশি অভিযুক্তদের ধরতে রাতেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে বাসন্তী থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।