বিশ্ব সমাচার, বারুইপুর: এ বছরই বাংলার দুর্গা উৎসব বিশ্ব হেরিটেজের তকমা পেয়েছে ইউনেস্কোর বিচারে। আর সেই কারণে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে বাংলার এই দুর্গোৎসব দেখার জন্য আলাদা চাহিদা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলিতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন এই দুর্গোৎসব দেখার জন্য।
এরকমই ফ্রান্সের তিন ইঞ্জিনিয়ার বুধবারই এসেছেন কলকাতায়। তবে দুর্গোৎসব দেখার পাশাপাশি এই ইঞ্জিনিয়াররা এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গিয়ে সেখানকার পড়ুয়াদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। পড়াশুনার ক্ষেত্রে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শও দেন।
ফ্রান্সের বাসাতি নামক একটি কোম্পানিতে কর্মরত এই ইঞ্জিনিয়াররা। সেখান থেকেই ছুটি নিয়ে পুজোর ক’টা দিন কলকাতা ও আশপাশের এলাকাগুলিতে প্যান্ডেল হপিং করবেন। বুধবার বিকেল থেকেই তাঁরা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরবেন। কিন্তু ঠাকুর দেখা শুরুর আগেই বারুইপুরের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ জিএমআইটিতে ঢুঁ মারেন এঁরা।
এই কলেজ থেকে প্রতিবছর বাসাতিতে বহু ছাত্রছাত্রী চাকরির সুযোগ পান। এই কলেজের পড়ুয়ারা আরও কী কী বিষয়ে জোর দিলে বিদেশে চাকরির সুযোগ আরও খুলে যেতে পারে, সেই সব বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। মূলত যে প্রযুক্তি জানলে তাঁরা নিজেদের কেরিয়ারে আরও উন্নতি করতে পারবেন,
সেইরকম কিছু প্রযুক্তির পরামর্শ দেন ফ্রান্সের ইঞ্জিনিয়াররা। পুজোর আগে নিজেদের কলেজে এরকম একটা সুযোগ পেয়ে যথেষ্ট খুশি পড়ুয়ারা। পাশাপাশি কলকাতায় দুর্গোৎসব দেখার সুযোগ পেয়ে খুশি ফ্রান্সের এই ইঞ্জিনিয়াররা।