সংবাদ সংস্থা: প্রায় ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করে করেছিলেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী।জানা গিয়েছে, সেই ভিডিয়ো আর এক ছাত্রী তাঁর এক বন্ধুকে পাঠান। ওই বন্ধু আবার ভিডিয়োটি পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিয়ো। শনিবার মধ্যরাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের মোহালীর চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই ঘটনা জানাজানির পর শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হইচই শুরু হয়। আট জন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও খবর। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উত্তেজনা বাড়ে। কয়েক জন পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালান। তবে পরে পুলিশ তদন্ত করে জানায়, পুরোটাই গুজব! পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সবাই এই ঘটনা অস্বীকার করেছে। জানানো হয় কোনও ছাত্রীই আত্মহত্যার চেষ্টা করেননি।
রবিবার পুলিস জানিয়েছে, তারা প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তদের কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি ভিডিও পেয়েছে। এমনকী কোনও ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেনি বলেও দাবি তাদের। মোহালির পুলিস প্রধান বিবেক সোনি সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, “এখনও পর্যন্ত আমাদের তদন্তে জানতে পেরেছি যে অভিযুক্তের নিজের একটি মাত্র ভিডিয়ো রয়েছে। অন্য কারও ভিডিয়ো রেকর্ড করেননি।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইল ফোনগুলি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।” এসএসপি আরও জানিয়েছেন, কোনও আত্মহত্যার চেষ্টা বা মৃত্যু ঘটেনি এবং তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে একজন শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে তার কারণ প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। পুলিস অফিসার বলেছেন,
“এক ছাত্রীর শ্যুট করা একটি ভিডিও এবং প্রচারের বিষয়ে কথা হচ্ছে, সে বিষয়েই ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও আত্মহত্যার (মৃত্যু) চেষ্টার খবর পাওয়া যায়নি। কোনও গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়।” চণ্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রো চ্যান্সেলর ড. আর এস বাওয়া বলেন, “৬০ জন পড়ুয়ার এমএমএস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রী নিজের গোপন ভিডিও রেকর্ড করেছিল। সেই ভিডিও নিজের প্রেমিককে পাঠিয়েছিল। অন্য কারোর গোপন ভিডিও রেকর্ড করা হয়নি।” যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই দাবি ভুয়ো বলে দাবি করেছে পড়ুয়ারা।
তাঁদের দাবি, বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তবে এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
