রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, পাথরপ্রতিমা : নদী বাঁধ ভাঙ্গনের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পাথরপ্রতিমার গোপালনগর এবং দুর্বাচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। উভয় গ্রাম পঞ্চায়েতের হরে কৃষ্ণপুর এবং পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর মৌজার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হরে কৃষ্ণপুর গ্রামের ১৪বিঘা টেকার প্রায় ৫০০ মিটার সপ্তমুখী নদী বাঁধ খুবই বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে।
বিগত দিনে আইলা, আমফান, বুলবুল ও যশের মত ঘূর্ণিঝড়ের সময় ওই নদী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে হরে কৃষ্ণপুর এবং পশ্চিম সুরেন্দ্রনগর গ্রামের বারশতবিঘা প্লাবিত হয়ে এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষত আজও গ্রামবাসীরা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। এছাড়াও ভগ্ন নদী বাঁধের পাশে মাছের ভেড়ি রয়েছে।
এদিকে সামনে পূর্ণিমার কটালে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে যেকোনো সময় ওই নদী বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। সেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানিও, কোন সুফল হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, কেবলমাত্র নদী বাঁধে মাটি ফেলে জোড়া তালি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ করা হলে ওখানে আর ভাঙ্গনের সম্ভাবনা থাকবে না বলে, গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
তবে এবিষয়ে গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবরঞ্জন গিরি জানান, নদী বাঁধ ভাংনের পরেও বহুবার মাটির কাজ করা হয়েছে।
দুই দিক থেকে স্রোতের টান থাকার কারণে ওই নদী বাঁধে প্রতিবারই ভাঙন ধরে। কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য, ওই এলাকায় ১০০ দিনের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কটালের আগে নদী বাঁধে মাটি দিয়ে মেরামত করার কাজ সোমবার থেকে শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন উপপ্রধান।
এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক সাহেবকে জানানো হয়েছে। শীতের মরশুমে ওই এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার স্থায়ী নদী বাঁধের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান, গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবরঞ্জন গিরি।