বিশ্ব সমাচার, বারুইপুর: মাত্র দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল বারুইপুর পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড। স্কুলপড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়ি চালকদের জমা জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এর জেরে তিতিবিরক্ত সবাই। সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা।
তাঁদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই বারে বারে ভুগতে হচ্ছে পুর নাগরিক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, ওয়ার্ডে তেমন জল জমেনি। যেসব ওয়ার্ডে জল জমেছে, তা দু’-তিন ঘণ্টার মধ্যেই নেমে যাবে। বেশি জল জমেছে মদারাট পঞ্চায়েত এলাকায়।
ভারী বর্ষণে বারুইপুর পুরসভার ৩, ৪, ১৩, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান রোডেও জল জমে যায়। পঞ্চাননতলা থেকে অক্ষয় সংঘ পর্যন্ত এলাকা প্রতি বছরের মতো এ বছরও জলমগ্ন হয়ে আছে। রাস্তার দু’পাশে একদিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড অন্যদিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাও বেহাল দীর্ঘদিন ধরে।
পাশাপাশি, কোনও নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বছরভর এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা শহর ঘেঁষা মদারাট পঞ্চায়েত এলাকায়। রাস্তার একপাশ পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। অন্যদিকে পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া মোড় থেকে বটতলা পর্যন্ত রাস্তায় হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। মদারাট পপুলার অ্যাকাডেমি স্কুলের ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে।
জল জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর এই জলে পা দিয়েই পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। জল ঢুকে পড়েছে গলির মধ্যে বাসিন্দাদের বাড়িতে, দোকানেও। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বলেন, পুরসভা ও পঞ্চায়েত উভয়েই দায়ী এই সমস্যার জন্য। মদারাট পঞ্চায়েতের এক সদস্য জানান, পপুলার অ্যাকাডেমি স্কুলের সামনে এলাকার সাধারণ মানুষ বাড়ির আবর্জনা, প্লাস্টিক থেকে বিভিন্ন জিনিস ফেলে যান।
বারণ করা সত্ত্বেও এলাকার মানুষ কথা শোনেন না। এই এলাকায় নর্দমা সপ্তাহে তিনদিন পরিষ্কার করা হয়। সাধারণ মানুষ ড্রেনে প্লাস্টিক থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন ময়লা ফেলে। তার জন্য জল জমে যায়। মঙ্গল ও বুধবারের ভারী বর্ষণে ড্রেনে জল সরছে না।
তিনি স্বীকার করেছেন, এই সমস্যা বহুদিনের। যদিও তিনি বলেছেন, বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।