রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, পাথরপ্রতিমা: নদীবাঁধে একশো দিনের মাটির কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পাথরপ্রতিমায়। অভিযোগের তির শ্রীনারায়ণপুর পূর্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শাসক দল তা অবশ্য অস্বীকার করেছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তারানগর মৌজার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধে মাটির কাজ করা হয়নি।
অথচ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে স্বপন মণ্ডলের বাড়ি থেকে জয়ন্ত মণ্ডলের বাড়ি পর্যন্ত পানিপুকুরিয়া খাল নদীবাঁধে জব কার্ডের মাধ্যমে একশো দিনের কাজ খাতায়-কলমে দেখানো হয়েছে। এবং একটি ফলকও লাগানো হয়েছে। এছাড়া ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৯৮ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তার কোনও সুরাহা করা হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই নদীবাঁধে মাটির কাজ না হওয়ার কারণে গত ১৩ আগস্ট রাখি পূর্ণিমার কোটালে নদীর জল উপচে এলাকায় ঢুকে ১০০ বিঘা কৃষিজমি নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে।
ফলে আমন ধানের রোয়া, মাছের ভেড়ি সহ ঘরবাড়ির বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ।তবে শ্রীনারায়ণপুর পূর্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহেশ্বর নাইয়া জানান, “ওই নদীবাঁধে মাটির কাজ অল্প কিছু বাকি রয়েছে।
একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়ার কারণে ওই কাজ সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না।শ্রমিকের বকেয়া টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে পৌঁছলে কাজ সম্পূর্ণভাবে করা হবে।” অন্যদিকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মলয় দাস জানান,
“কেন্দ্রীয় সরকার এনআরইজিএস প্রকল্পে একশো দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার কারণে নদীবাঁধে মাটির কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মোজাম্মেল রাজ জানান,
“কেন্দ্রের দেওয়া টাকার সঠিক হিসাব রাজ্য সরকার দিতে পারেনি। তাই নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।”