বিশ্ব সমাচার, কাকদ্বীপ : সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের সংখ্যা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতীয় জল সীমানা থেকে মোট ১০৪ জন মৎস্যজীবী উদ্ধার হয়েছেন। গত ৩ দিনে ৮৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ৪ দিনের বেলায় এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১০৪ এ।
এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মৎস্যজীবী সংগঠন গুলির অনুমান। তবে উদ্ধার হওয়া সব মৎস্যজীবীরা সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, “উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের বেশ কিছু সমস্যা ছিল।
সেই সমস্যাগুলির সমাধান করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সব মৎস্যজীবীরা সুস্থ রয়েছেন।সোমবার সকাল পর্যন্ত ১০৪ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আরও ৫ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের বেশ কিছু ট্রলার ভারতীয় জল সীমানা অতিক্রম করে এদেশে ঢুকে পড়েছিল। সেই ট্রলার গুলির মধ্যে কয়েকটি ট্রলার অক্ষত অবস্থায় ছিল। আবহাওয়া স্বাভাবিক হতেই সেই ট্রলার গুলি বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছে।
সেই ট্রলার গুলিতে উদ্ধার হওয়া আরও ১৩ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী ফিরে গেছেন।” এদিন উদ্ধার হওয়া সব মৎস্যজীবীদের দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বহু বাংলাদেশি ট্রলার উল্টে যায়।
নদীর স্রোতে এবং হাওয়ার দাপট থাকায় বাংলাদেশী মৎস্যজীবীরা ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জলসীমানা পেরিয়ে এদেশে চলে আসেন। তবে বিভিন্ন ভারতীয় ট্রলার মাছ ধরতে যাওয়ার সময় তাঁদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীও অভিযান চালিয়ে ২৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১০৪ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই উদ্ধারকাজ এখনও চলবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।